তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবশ্যই সংস্কার আনতে হবে। সেখানে কেবল পাঁচ স্থায়ী সদস্যের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটছে। জাতিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই বার্তাটিই সামনে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। নিজের বার্তায় তিনি আরো বলেন, জাতিসঙ্ঘকে অবশ্যই আরো স্বচ্ছ, কার্যকর, দক্ষ, স্পষ্ট ও অবাধ হতে হবে।
১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসঙ্ঘ সনদ কার্যকর করা হয়েছে। এ দিনটিকে জাতিসঙ্ঘ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটিতে সরকারি ছুটি পালন করতে সদস্য দেশগুলোকে সুপারিশ করেছে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে সব দেশেরই প্রতিনিধিত্ব সমানভাবে জোরদার করতে হবে বলেও দাবি করেন এরদোগান।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় তুরস্ক শান্তিরক্ষী অভিযান, সন্ত্রাসবিরোধী, মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তাসহ বিভিন্ন তৎপরতায় অংশ নিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইস্তাম্বুলকে জাতিসঙ্ঘের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া।
জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র ইস্তাম্বুল জানিয়ে তুর্কি নেতা বলেন, সে অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘের অধীন শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করার চেষ্টা করায় প্রত্যেকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
সম্প্রতি এ বিষয়ে সরব হতে দেখা গেছে ফ্রান্সকে। গেল মে মাসে জাতিসঙ্ঘে তাদের স্থায়ী দূত ফ্রঁঁসোয়া দেলাত্র বলেছেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির আরো ভালো প্রতিফলন ঘটা দরকার। সে জন্যই জাতিসঙ্ঘের সংস্কারের মধ্য দিয়ে ভারত, জার্মানি, ব্রাজিল ও জাপানের মতো দেশগুলোকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করে নেয়া অতি জরুরি। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না।’
চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও আমেরিকা- এই পাঁচ স্থায়ী সদস্যের পাশাপাশি ১০টি দেশকে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বেছে নেয়া হয় এই পরিষদে। এদের মেয়াদ দুই বছর করে। জাতিসঙ্ঘের সদস্য ১২২টি দেশের মধ্যে ৬০টি আজ পর্যন্ত একবারের জন্যও নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই পায়নি। সূত্র : আনাদোলু।