মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের সঙ্গে দেশটির পার্লামেন্টের দুই সংসদও (এমপি) ফেঁসে যাচ্ছেন। মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তাদেরকে বরখাস্ত করা হতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের সঙ্গে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের কাজে জড়িত সন্দেহে শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুয়েতের পার্লামেন্টের দুই সংসদকে ডাকা হবে। তাদের দুজনকে পাপুলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এমপি পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
কুয়েতের সমাজ কল্যাণ ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে মানবপাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির জনশক্তি কর্তৃপক্ষের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে পাপুল মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও তাকে ঘুষের বিনিময়ে সহায়তা করেছে।
পাপুল এবং তার কোম্পানির ব্যাংকে থাকা প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটর।
এদিকে, বিদেশের মাটিতে একজন এমপি আটকের ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।