সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামে ১৬ নদ-নদীর পানি বাড়ছে, ঘরবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০
  • ২১৯ বার

কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে তলিয়ে গেছে জেলার ৪৫০টি চর ও দ্বীপচর। সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। ইতিমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার লক্ষাধিক মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।

জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির আউশ, পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা ও শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার। ভাঙছে রৌমারীর কর্ত্তিমারী, চিলমারীর নয়ারহাট, কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ও সারডোব রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এলাকা। এ ছাড়া ভাঙনের মুখে ঝুঁকিতে রয়েছে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, থেতরাই, বুড়াবুড়ি, বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ।

যাত্রাপুরের কালির আলগা চরের বাসিন্দারা জানান, চরের আবাদ সব নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়ির চারপাশে যারা সবজি লাগিয়েছেন সেগুলো এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া নিচু শৌচাগার ডুবে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন তারা।

কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, কুড়িগ্রামের চারটি পয়েন্টে যথাক্রমে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার, কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর সদর পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যাচ্ছে পানি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বলেন, ভাঙন কবলিতদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। ভাঙনকবলিত উপজেলাগুলোতে ৩০২ মেট্রিক টন চাল, ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com