মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে ভারতের প্রথম সম্ভাব্য টিকা। কোভ্যাকসিন নামে করোনার এই টিকা ভারতে মানবদেহে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাস থেকেই সারাদেশে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে টিকাটি। এর পেছনে কাজ করছে হায়দরাবাদভিত্তিক ভারত বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কৃষ্ণ এল্লা বলেন, ‘আমরা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে দেশের প্রথম টিকা আবিষ্কার করতে পেরে গর্বিত। কোভ্যাকসিন নামের এই টিকা তৈরির কাজে আইসিএমআর এবং এনআইভি আমাদের সহযোগিতা করেছে।’ এর আগে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এই টিকার প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরোধ ক্ষমতাসংক্রান্ত ট্রায়ালের ফল সরকারকে জমা দেয় বায়োটেক। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা মানবদেহে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
চলতি বছরের ৯ মে আইসিএমআর ভারত বায়োটেকের এই গবেষণার কথা জানায়। দুই মাসেরও কম সময়ে মানবদেহে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছে তারা। তবে টিকা তৈরির পরবর্তী পদক্ষেপগুলোতে কতটা সময় লাগতে পারে কিংবা ভ্যাকসিনটি কবে বাজারে আসতে পারে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
প্রথম দফায় মানবদেহে প্রয়োগ করে দেখা হবে এটি কেমন আচরণ করছে বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটছে কিনা। সে ক্ষেত্রে ওষুধের উপাদানে পরিবর্তন আনা হতে পারে। এর পর দ্বিতীয় দফায় টিকাটি কী পরিমাণে মানবদেহে ব্যবহার করতে হবে তা নির্ধারণ করা হবে।
সব মিলিয়ে মাস চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, দেশে ৩০টি গ্রুপ টিকা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।