দেশে একদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৫ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ হাজার ৪৮৪ জন।
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৮টি। আর পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ৩ হাজার ৭৭৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জন। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৩ শতাংশ।’
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬২ হাজার ১০২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৪১ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ১ হাজার ৮৮৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ৩৮ জন এবং নারী ৩ জন।’
বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘৩১ থেকে ৪০ বছর ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ১০০ বছরের ১ জন মারা গেছে।’
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব বয়ষীদের মৃত্যুর হার ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরে ১৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছর ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছর ১ দশমিক ১৬ শতাংশ। ১০ বছরের নিচে দশমিক ৬৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, এবং বরিশাল বিভাগে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ২৩ জন এবং বাসায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।