দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে চার হাজার ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মোট আক্রান্ত এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরো ৩৮ জন। এদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ এবং নারী ছয়জন। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯২৬ জনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭০টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৭টি। পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৮ হাজার ৩৬২টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আট লাখ দুই হাজার ৬৯৭টি।
পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.৮৯ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.১০ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ।
এদিকে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো চার হাজার ৩৩৪ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থতার মোট হার ৪৩.৩৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি :
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৫৪২ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে এক কোটি ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৩ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৬০ হাজার ৬৩২ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৯ জনে। তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৬ মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৪ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সঙ্কটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সূত্র : ইউএনবি