ব্রিটেনে উদ্ধার হওয়া ৩৯ লাশ উদ্ধার ঘটনা নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। প্রথমে বেশিরভাগই চীনা নাগরিক সন্দেহ করা হলেও এবার তাদের মধ্যে ২০ জন ভিয়েতনামের নাগরিক বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেখানকার একাধিক সংগঠন। পাশাপাশি, ঘটনায় জড়িত তথা ট্রাক মালিক সন্দেহে ধৃত চারজনের মধ্যে একজন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত বুধবার লন্ডন থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে গ্রেজ এলাকার এক শিল্পাঞ্চল থেকে এক ট্রাকের ভিতরে রেফ্রিজারেটর কন্টেনার থেকে ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে আটজন নারী। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর এসেক্স পুলিশ জানিয়েছে, মনে করা হচ্ছে মৃতরা সকলেই চীনের বাসিন্দা। যদিও চীনা দূতাবাস ওই ৩৯ জনের পরিচয় খতিয়ে দেখেনি। তারপর ভিয়েতনামের বংশোদ্ভূত নাগরিকদের সংগঠন ‘ভিয়েত হোম’ শনিবার জানিয়েছে, ভিয়েতনামের একটি সংস্থার থেকে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিখোঁজ প্রায় ২০ জনের ছবি পাওয়া গেছে। মনে করা হচ্ছে, নিখোঁজদের সবার লাশই ওই ট্রাকে রয়েছে। ভিয়েতনামের এক সংগঠন চোরা কারবারের সঙ্গে যুক্ত অভিবাসীদের ব্রিটেনে কাজ পাইয়ে দেয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তারাই ওই ছবি ভিয়েত হোমকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ব্রিটেনের ট্রাক থেকে উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর মধ্যে তার সন্তান রয়েছে বলে এদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আরও এক ভিয়েতনামবাসী। তার নাম নুইয়েন দিন গিয়া। ব্রিটেনে যাওয়ার পথে ছেলের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তার কাছে ফোন এসেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সংবাদসংস্থাকে গিয়া বলেছেন, ব্রিটেনের একটি সেলুনে কাজ করার জন্য দু’সপ্তাহ আগে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল আমার ছেলে নুইয়েন দিন লুয়ং (২০)। কিন্তু, কয়েক দিন আগেই ভিয়েতনামের এক নাগরিক গিয়াকে ফোন করেন এবং বলেন, ‘সহানুভূতি জানান। অকাঙ্ক্ষিত কিছু একটা ঘটে গেছে।’
এরপরেই ব্রিটেনের ওই ট্রাকে লুয়ংয়ের লাশ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এর আগে ফাম থি ত্রা মাই (২৬) নামে এক তরুণীর লাশ ওই ট্রাকে রয়েছে বলেও দাবি করেছে তার পরিবার।
সূত্র : এএফপি