ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রায় ২০টি স্থানে বসছে কোরবানির পশুর হাট। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে প্রতিটি গবাদি পশুর হাটগুলো। করোনা মহামারীতে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর তালিকায়ও যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।
সরেজমিনে লালমোহন, হরিগঞ্জ, চতলা বাজার, রায়চাঁদ, লর্ডহার্ডিঞ্জ, মঙ্গলসিকদার বাজার গিয়ে দেখা যায় একটু একটু করে জমতে শুরু করেছে পশুর হাট। তবে মহামারি করোনার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতা কম। উপজেলার সব পশুর হাটগুলোতে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। সীমিত পরিসরে ও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুরহাট পরিচালনার কথা থাকলেও কিছুই মানা হচ্ছে না এখানে।
হাটে গরু কিনতে আসা আব্দুল মালেক ও গনি বেপারি নামের দু’জন ক্রেতা জানান, আমরা দুপুরের দিকে এসেছি। হাটের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের উপজেলায় করোনা বলতে কিছুই নেই। এভাবে চলতে থাকলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা আমাদের উপজেলার জন্য বিপদজনক। স্থানীয় সচেতনমহলের দাবি কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি নজরে আনেন।
তবে প্রতিটি হাটের ইজারাদার বলেন, অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন, আমরা চেষ্টাও করছি। কিন্তু অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা আমাদের কথা শুনছেন না, তারা না বুঝলে আমরা আর করার কি আছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে অনেকে মনে করেন।
সচেতনমহলের দাবি বিষয়টি লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি স্যার যেন প্রতিটি পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হাবিবুল হাসান রুমির সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।