বরগুনার পাথরঘাটায় সুন্দরবনের জলদস্যুদের সংগঠিত হওয়ার সময় জলদস্যু রিপন বাহিনীর সঙ্গে কোস্টগার্ডের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রিপন বাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করেছে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড পাথরঘাটা।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হরিণঘাটা বনের ভিতরে পর্যটক ভিউ টাওয়ারের নিচে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি অস্ত্র, ছয় রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের মো. মহাসিনের ছেলে মো. রিয়াজ (২৩) ও একই এলাকার আ. মান্নানের ছেলে মো. রাজু (২৫)।
দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান দৈনিক আমাদের সময়কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষে সাগরে যখন জেলেরা মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৮/১০ জন জলদস্যু হরিণঘাটা বনাঞ্চলের ভেতরে একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠকের পরিকল্পনা করছে- মর্মে আমাদের কাছে তথ্য আসে। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে রাত ৯টার দিকে ঝুঁকি নিয়ে হরিণঘাটা বনাঞ্চলে ভিতরে প্রবেশ করি। উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়ি। তখন উভয়পক্ষের প্রায় ১৪-১৫ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়।’
‘একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে দস্যু বাহিনীর সদস্যরা পালাতে চেষ্টা করে। এ সময় আমরা দুজনকে আটক করতে সক্ষম হই। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে আমরা জঙ্গলের ভেতর তল্লাশি করে দুটি অস্ত্র, ছয় রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করি। আটককৃতরা জলদস্যুরা রিপন বাহীনির সদস্য বলে স্বীকার করেছে’ বলেন দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কমান্ডার।
মেহেদী হাসান আরও বলেন, সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগর জলদস্যু মুক্ত রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। কিছুদিন আগেও এই এলাকার সুন্দরবন সংলগ্ন বিহঙ্গ দ্বীপ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে একটি জলদস্যুদের আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে।