সাকিব আল হাসানের ওপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা। তাকে ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অনেকটাই লবণ ছাড়া তরকারির মতো!
ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন রাখায় আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে সাকিব দোষ স্বীকার করায় শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব এই একটি বছর বেশ কয়েকটি সিরিজ খেলতে পারবেন না। পাঠকদের জন্য সেই ম্যাচগুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হলো-
আগামী মাসে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব খেলতে পারবেন না ভারতের সঙ্গে কোনো ম্যাচ।
২০২০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফর (সম্ভাব্য), একই বছর ফেব্রুয়ারীতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ রয়েছে, ওই বছরের মার্চে রয়েছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ।
এ ছাড়া ২০২০ সালের মে-জুনে রয়েছে আয়ারল্যান্ড সফর। জুলাই-আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফর, নিউজিল্যান্ড সিরিজ রয়েছে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। এ ছাড়া অক্টোবরে আবারও রয়েছে নিউজিল্যান্ড সফর।
তবে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি হতে যাচ্ছে ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। আর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে সাকিবের সামনে। তবে বাস্তব চিন্তা করলে, আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ও নিজের ফিটনেস ধরে রাখলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে সাকিব আল হাসানের।