ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিলে এমন ঘটনা ঘটত না বলেও মনে করেন তিনি।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওয়াহিদা খানমের মতো উপজেলা পর্যায়ের একজন সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তার ওপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও পৈশাচিক হামলার ঘটনায় এটি আবারও প্রমাণিত হলো যে, এই সরকার দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান সরকারের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। এরা সন্ত্রাসকে আশ্রয় করেই নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল ও মতকে দমন করে যাচ্ছে রক্তাক্ত কায়দায়। এখন সরকারি কর্মকর্তারাও এদের হিংস্রতার শিকার হচ্ছে। মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহাকে হত্যাসহ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকার বিচার বহির্ভূত হত্যা যেভাবে সংঘটিত করছে, তাতে দুস্কৃতিকারীরা উৎসাহ পাচ্ছে। দুস্কৃতিকারীরা যেই হোক ইতিপূর্বে যদি তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রমণের শিকার হতেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে এখন আইন-কানুনের কোনো বালাই নেই। হত্যা, খুন, জখম, টাকা পাচার, মানব পাচার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোপাট, টেন্ডারবাজি ও জবরদস্তি কায়েমের মতো অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুস্কৃতিকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরই সর্বশেষ শিকার হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম।’
তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসনের বিলুপ্তি ঘটিয়ে, গণতন্ত্রকে কবরস্থ করে নাৎসী কায়দায় দেশ পরিচালনার জন্যই এখন সন্ত্রাসবাদের দোর্দণ্ড প্রতাপ চলছে। দুর্নীতি ও রক্তাক্ত সন্ত্রাসের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত এই সরকার সারাদেশে অশান্তির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। যে দেশে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্ত্রাসীদের দ্বারা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে, সে দেশে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা কত অনিশ্চিত-তা ব্যাখা করে বলার কোনো অবকাশ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম এবং তার পিতার ওপর নির্মম হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমার জানা নেই।’
ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে ওয়াহিদা খানমকে গুরুতর আহত করার ঘটনাকে রাষ্ট্রের জন্য অশুভ সঙ্কেত উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমি দুস্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ওয়াহিদা খানমের পরিবারবর্গ ও নিকটজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা ওমর আলীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।’