শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তরুণীর ধর্ষণ মামলা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৯৩ বার

আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন মাদবরসহ (৫০) তিন জনের বিরুদ্ধে এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ওই তরুণী এক আত্মীয়ের পাওনা টাকা ফেরত পেতে বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে আজ রোববার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ মামলা করেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন জবানবন্দি গ্রহণের শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। যা বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন। মামলার অপর দুই আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের শ্যালক মো. আলমগীর (৩৮) এবং ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সবুজ সিকদার (৩৫)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর এক আত্মীয় আশুলিয়া বাজারস্থ সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা পান। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বিচার চাইতে ওই আত্মীয়ের সঙ্গে চেয়ারম্যানের ইউনিয়ন পরিষদে যান ভুক্তভোগী তরুণী। তাকে সেখানে না পেয়ে তারা চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। চেয়ারম্যান তাকে পাওনা টাকা ফেরত পেতে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে তারা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু আসামি আলমগীর ও সবুজ সিকদার তাদের পথরোধ করে বলেন, ‘তোমাদের আগমন সন্দেহমূলক। তোমরা চেয়ারম্যানের ক্ষতি করার জন্য এখানে এসেছো। কী কারণে এখানে এসেছো না বললে তোমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেবো।’

ওই তরুণী তাদের জানান, পাওনা টাকার ফেরত চেয়ে বিচার দিতে চেয়ারম্যানের কাছে এসেছি। তাদের কথায় কর্ণপাত না করে আসামিরা তাদের মারধর করতে থাকেন। পরে আসামিরা তাদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। তাদের দুই জনকে দুই রুমে আটকে রাখেন।

মামলার অভিযোগ আরও বলা হয়, দুপুরে চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর ওই তরুণীর রুমে ঢুকে তাকে মারধর করেন এবং পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালান তিনি। শাহাবুদ্দিন মাদবর রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আলমগীর ও সবুজ রুমে প্রবেশ করে ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন ওই তরুণী তাদের হাত-পা ধরে নিজেকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করেন। এরপর চেয়ারম্যান আশুলিয়া থানা থেকে পুলিশ ডেকে এনে তাদের পুলিশের দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ সব শুনে চলে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com