করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তার বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গের চিকিৎসা বিষয়ক বিভাগের প্রধান। তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনায় সংক্রমিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থ আছেন বলে টুইট করে জানিয়েছেন খোদ প্রেসিডেন্ট।
ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গের চিকিৎসা বিষয়ক বিভাগের প্রধান ডেভিড এ নেস মনে করেন, ট্রাম্পকে মাস্ক না পরার খেসারত দিতে হবে। ট্রাম্পের জ্বরের মাত্রা অল্প। তবে তার নাকে সমস্যা আছে। সেইসঙ্গে কাশি আছে।
ডা. নেস বলেন, ‘আমার বড় আশঙ্কা হলো প্রেসিডেন্টের সংক্রমণের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি। যেসব বয়স্ক মানুষ মাস্ক পরেন না তাদের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হারে হয়। আর এর ফলে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে অনেক বেশি।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৪। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্ক নারীদের তুলনায় বয়স্ক পুরুষদের মৃত্যুহার দ্বিগুণ। চায়নিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং গত আগস্টে চিকিৎসা সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত দুই গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা গেছে, আক্রান্ত পুরুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নারীদের তুলনায় কম থাকে।
হোয়াইট হাউসের চিকিৎসা কর্মকর্তা সিন কুনলে জানান, ট্রাম্প ও মেলানিয়া কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তবে গতকাল সন্ধ্যায় ট্রাম্পকে মাস্ক পরে হোয়াইট হাউসের বাইরে দেখা যায়। হেলিকপ্টারে করে তাকে ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের অনুমোদিত কোনো ওষুধ নেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি রেজেনেরনের একটি অ্যান্টিবডির ককটেল নিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি কিছু ওষুধ, জিঙ্ক ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করেছেন।
করোনা প্রতিরোধে হাইডোক্সোক্লোরোকুইনের সুখ্যাতি ট্রাম্পের মুখে শোনা গেছে মহামারির শুরুর দিকে। কিন্তু সেই ওষুধ হার্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। ড. নেসের কথা, এটা প্রেসিডেন্টকে কখনই দেওয়া উচিত না। এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।