থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চলমান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি থামাতে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা বড় সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে ব্যাংককে জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে। সকালেই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান তিন নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে থাই পুলিশ।
ব্যাংককে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং রাজার ক্ষমতা কমিয়ে আনাই গণতন্ত্রপন্থী এ আন্দোলনকারীদের মূল দাবি।
গত আগস্ট মাসে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে প্রথমবার সমালোচনা করে মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী অ্যানন নামপা। প্রথাগত ধারার সংস্কারের দাবি তুলেও আলোচনায় আসেন তিনি। একই মাসের শেষে রাজতন্ত্রের নিয়ম সংস্কারের ১০ দফা দাবি পেশ করে আলোচনায় আসেন পানুসায়া সিথিজিরাওয়াত্তানকুল।
থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা যে আদেশ পাঠ করেছেন, তাতে ‘আতঙ্ক উদ্রেককারী বা ইচ্ছাকৃত ভাবে তথ্য বিকৃত করে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করার মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা অথবা শান্তি-শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব ফেলে’- এমন কোনো খবর প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আদেশ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাছাই করা যেকোনো এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারবে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং রাজার ক্ষমতা কমিয়ে আনাসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা গণতন্ত্রপন্থীরা। বিক্ষোভকারীরা সাবেক সেনাপ্রধান ও ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করা প্রায়ুথের পদত্যাগ দাবি করছে। এ ছাড়া থাইল্যান্ডের সংবিধান যেন নতুন করে লেখা হয়, সেটি বিক্ষোভকারীদের আরেকটি দাবি।