ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আগামীকাল সোমবার সারাদেশের মহানগর ও জেলা সদরে এবং পরদিন মঙ্গলবার থানা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন করবে বিএনপি। আজ রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থায়ী কমিটির নেতারা মনে করেন, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মতোই ত্রাস সৃষ্টি করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে জাল ভোট দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ইভিএম দিয়ে ভূয়া ফলাফল তৈরি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি এবং এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষকে চরম বিপাকে ফেলেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের মদদপুষ্ট এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা এবং সরকারি ব্যবস্থপনার ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।’
সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে—তাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার মৌলিক যে অধিকার এটা তার বিরোধী। দেশে গণতন্ত্রবিহীন একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অপ প্রয়াস। সরকার ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি আইন বিধান ও বিজ্ঞপ্তি জারী করেছে যা সংবিধান সম্মত মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি। অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার শারোদীয় শুভেচ্ছা জানানো হয়। আনন্দমুখর পরিবেশে এই ধর্মীয় উৎসব পালনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানানো হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।