বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১ টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, আমি প্রথমবার সংসদে পা রেখেছি আমার বাবার লাশ নিয়ে। যদিও আমার বাবা ৪ বার সংসদ সদস্য হয়ে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবাকে আপনারা শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছেন, তাই সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের এখানে উপস্থিত প্রমাণ করে আমার বাবার সবার সাথে সুসম্পর্ক ছিলো। আপনাদের ধন্যবাদ।
ইশরাক বলেন, আমার বাবার বুকে চাপা কষ্ট রয়েছে তিনি নিজ দেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেন নি। তিনি ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে এখানে এসেছেন। তিনি ২০১৭ সালে পাসপোর্ট নবায়ন আবেদন করেছেন কিন্তু সেটা পাননি।
খোকার ছেলে আরো বলেন, আমার বাবা আমি যে দিন নিউইয়র্ক গেলাম সেদিন শেষ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন তার জানাজা যেন দেশে হয়। আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই আমার বাবার লাশ দেশে আনতে সহযোগিতা করার জন্য।
তিনি বলেন, বাবা আমাকে বলেছিলেন, আমি বাক্সবন্দী হয়ে দেশে যাবেন। ঠিক ই তিনি বাক্সবন্দী হয়ে আসলেন সাথে তার দেহটা প্যাকেট হয়ে আসছেন। এ তথ্য আমি কখনও ভুলতে পারবো না।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেন, সাদেক হোসেন খোকা একজন সর্বজন স্বীকৃত রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি এ দেশে ও আধুনিক ঢাকা গড়তে কাজ করছেন। আপনারা সবই তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দান করেন।
সাদেক হোসেন খোকার দুই ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইশফাক হোসেন সংসদ ভবনের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পাটির নেতা রাশেদ খান মেমন, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবের হোসেন চৌধুরী, কল্যাণপার্টির প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আ’লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আবদুল মঈন খান, অলি আহমদ প্রমুখ।
জানাজা শেষে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে নেয়া হবে সর্বস্তরের জনগনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।