নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে বড়সড় ধাক্কা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তার দলের আবেদনের বিরুদ্ধে গেল। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন ট্রাম্প।
টুইটার ট্রাম্পের সেই টুইটকে ‘মিসলিডিং’ বলে ঘোষণা করেছে।
পেনসিলভানিয়ায় মঙ্গলবার ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তিন দিন পর্যন্ত যত পোস্টাল ব্যালট আসবে, তা গণনা করা হবে। সোমবার রাতে এমনই রায় দিয়েছে আদালত। ট্রাম্প প্রথম থেকেই পোস্টাল ব্যালটের বিরোধী।
নির্বাচনের বহু মাস আগে থেকেই ট্রাম্প প্রচার করছেন যে, পোস্টাল ভোটে কারচুপির সম্ভাবনা আছে। ফলে তিনি পোস্টাল ভোট মেনে নেবেন না। কিন্তু কেন তিনি এ কথা বলছেন, তার কোনো যুক্তি তিনি দিতে পারেননি। পোস্টাল ভোটে কী কারণে কারচুপির সম্ভাবনা আছে, সে বিষয়ে কোনো যুক্তি দেননি ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে পেনসিলভানিয়ায় এক লাখ ২৭ হাজার পোস্টাল ব্যালট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। করোনার কারণে বহু মানুষ ওই ভোট আগেই দিয়ে দিয়েছেন। পেনসিলভানিয়ায় যা গনণার হওয়ার কথা। মেইলে ওই ভোট গণনা কেন্দ্রে পৌঁছতে ভোটের পরেও তিনদিন লেগে যেতে পারে।
রিপাবলিকানদের বেশ কিছু সদস্য আদালতে আবেদন করেছিলেন, ওই ভোটগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য। কারণ, নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় পরে ওই ভোট গণনা করা আইনবিরুদ্ধ। কিন্তু আদালত সে কথা মেনে নেয়নি। বরং বলেছে, ওই ভোট বৈধ এবং তার গণনা হবে।
ট্রাম্পের কাছে এটি একটি বড় ধাক্কা। আদালতের রায় শোনার পরেই টুইটে ট্রাম্প তার প্রতিবাদ করেন। ফের জানান, এর ফলে ভোটের ফলে কারচুপি হতে পারে। কিন্তু টুইটার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই টুইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। ট্রাম্পের টুইটে লিখে দেওয়া হয় ‘মিসলিডিং’।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ট্রাম্পের ধারণা, পোস্টাল ভোট যত বেশি হবে, ততই তার জেতার সম্ভাবনা কমবে। কারণ, বেশি ভোট হলে তা সরকার বিরোধী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পোস্টাল ভোট ডেমোক্র্যাটরা পাবে বলে মনে করেন ট্রাম্প। এবং সে কারণেই প্রথম থেকে পোস্টাল ভোটের বিরোধিতা করছেন তিনি। এতদিন বাইডেন শিবিরে এই বিষয়ে ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ এবং কটাক্ষ করেছে। এ বার দেশের সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প।
সূত্র : ডয়চে ভেলে