ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার বাবরি মসজিদের জমি নিয়ে মামলার রায় প্রকাশ হবে শিগগিরই। রায়ের তারিখ ঠিক না হলেও এ মাসের প্রথমার্ধেই সেই রায় বলে বলে শোনা যাচ্ছে।
বহুল বিতর্কীত এই মামলার রায় প্রকাশের আগে ভারতের সব রাজ্যকে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর উত্তর প্রদেশর অযোধ্যাকে তো রীতিমতো দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিতর্কিত মামলাল রায় ঘোষনার কথা সুপ্রিম কোর্টের।
সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর নেবেন। তার আগেই তিনি বাবরি মসজিদ মামলার রায় দেবেন বলে জানা গেছে। গত মাসেই এই মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষ হয়েছে। রায় প্রকাশের আগে সংযত মন্তব্য করতে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে উত্তর প্রদেশ সরকারকে স্পর্শকাতর এই মামলার রায় বেরোনোর আগে নিরাপত্তামূলক সব রকমের সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অযোধ্যায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিপুল নিরাপত্তা বাহিনী মোতয়েন করা হয়েছে অঞ্চলটিতে। জানা যাচ্ছে, ৪০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী (প্রায় ৪০০০) মোতায়েন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৬ কোম্পানি আইটিবিপি, সিআইএসএফ, এসএসবি। শুধু কয়েক হাজার সেনা কর্মী মোতায়েন নয়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কিছু অস্থায়ী জেলও তৈরি করতে চলেছে যোগীর প্রশাসন। জানা গেছে অম্বেদকরনগরের কলেজগুলিকে জেলে পরিণত করা হচ্ছে।
১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের সময় মসজিদটি নির্মাণ করার পর তার নামেই সেটির নামকরণ করা হয়। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রাচীন এই মসজিদটি ভেঙে ফেলে উগ্রবাদী হিন্দুরা। তাদের দাবি ওই জায়গাটি রামের জন্মভূমি, যেখানে এখন তারা রাম মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করছে। এই নিয়ে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছে ভারতের আদালতে।