বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে বরগুনা,পায়রা বন্দর ও মোংলা দেওয়া হয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। এদিকে বরগুনা সদরের নলটোনা এলাকায় বিষখালীর পানির চাপে বেরিবাধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা ও বরিশালের ৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বরগুনার ৬ উপজেলার বেরিবাধের বাইরে ও ভেতরের বাসিন্দারা রাতে আশ্রয়ন কেন্দ্রে না গেলেও শনিবার সকাল থেকে আশ্রয়ন কেন্দ্রে যাচ্ছেন। এখানকার বাসিন্দারা তাদের মালামাল নিয়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ছুটে চলেছেন, শিশু ও বৃদ্ধদের সেচ্ছাসেবকরা সহযোগীতা করছেন।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
বাংলাদেশ-ভারত উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের যে কোনো সময় ঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এ কারণে ৫-৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর আতঙ্কে ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর লক্ষে বরগুনা সদর উপজেলার কেওরাবুনিয়া ইউনিয়নের রেডক্রস টিম লিডার মোঃ সোহরাব হাওলাদারের নেতৃত্বে কর্মীরা ঘূর্নিঝড় সচেতনতা বাড়াতে চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা।
অন্যদিকে একই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মাতুব্বর প্রত্যেকটি সাইক্লোন সেল্টারের তদারকি করছেন এবং জনসাধারণের জন্য খিচুরির ব্যবস্থা করছেন।
বরগুনা জেলা প্রসাশক মো: মোস্তাইন বিল্লাহ জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল ঘুরছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোথায়ও কোন অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।