ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ১০ জেলায় মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে রোববার ভোররাতে আঘাত হানে বুলবুল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এছাড়া অন্তত ১ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ে। গাছপালা ভেঙেছে প্রচুর। রাস্তাঘাট, বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক জায়গায়। এর মধ্যে শুধু সাতক্ষীরায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে খুলনায় ২ জন, পিরোজপুরে ২ জন, বরিশালে ১ জন, পটুয়াখালীতে ২ জন, বরগুনায় ১ জন, বাগেরহাটে ১ জন, গোপালগঞ্জে ১ জন, শরীয়তপুরে ১ জন ও মাদারীপুরে ১ জন রয়েছেন।
বেশির ভাগই গাছ চাপায় নিহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ১০টার দিকে খুলনার দক্ষিণ দাকোপে প্রমিলা মন্ডল (৫২) নামে এক নারী গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। একই জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় সেনহাটি গ্রামে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বসতঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ায় গোপাল মণ্ডল (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।
বরিশালের উজিরপুর গাছ চাপা পড়ে আশালতা মজুমদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামে হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এছাড়াও জেলার কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব ধানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাইক্লোন শেল্টারে রিজিয়া বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
বরগুনা সদর উপজেলার ডিএন কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে হালিমা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজলকুড় গ্রামে শিশু সামিয়া খাতুন (১৫) ও ফকিরহাট উপজেলার চাকুলী গ্রামের গৃহবধূ হীরা বেগম (২৫) নিহত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে সেকেল হাওলাদার (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আর সদর উপজেলায় নিহত হয়েছেন মতি বেগম(৬০) নামের এক বৃদ্ধা।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় গাছ চাপায় মো. আলীবক্স ছৈয়াল (৬৮) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। মাদারীপুরে ঘরের ভেতরে রাখা আলমিরার নিচে চাপা পড়ে সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।