৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হারের পর তার অধীনে কর্মরত কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক লেগেছে। গত এক মাসে একের পর এক কর্মকর্তা সরে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন এ ধনকুবেরের কাছ থেকে। সেই তালিকায় যোগ হলো আরও একটি নাম, স্কট অ্যাটলাস। ট্রাম্পের খুবই আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ট এই কর্মকর্তা দেশটির করোনাভাইরাস বিষয়ক একজন উপদেষ্টা ছিলেন।
আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজ থেকেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্কট অ্যাটলাস। তার পদত্যাগপত্রে আজ মঙ্গলবারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
স্কটের পদত্যাগের খবরটি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোও। প্রতিবেদনগুলোতে এ করোনা উপদেষ্টার বিভিন্ন সময় করা বিতর্কিত মন্তব্যের উদ্বৃতি টেনে বলেছে, এসব কারণে তিনি বহুবার সমালোচনার স্বীকার হয়েছে। ট্রাম্পের মতো তিনিও মাস্ক না পরা, ঘরের বাইরে গেলে কিছু হবে না- এসব অহেতুক যুক্তি দেখিয়েছিলেন।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ব্যক্তি জীবনে স্কট অ্যাটলাসের অভিজ্ঞতা খুবই সীমিত। তার বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়, গণস্বাস্থ্য ও সংক্রামক রোগের জ্ঞান তুলনামূলক কম। বিজ্ঞানী এবং জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে তার অভিজ্ঞতার বিষয়ে বেশ বিতর্ক ছিল। তিনি যে দায়িত্ব পালন করছিলেন সে ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
সমালোচনা
‘মাস্ক কি আসলেই কাজ করে?’ সামাজিক যোগযোগমাধ্যম টুইটারে স্কটের এমন পোস্টের পর সমালোচনা শুরু হয়। মাস্ক পরার বিষয়ে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ স্বত্ত্বেও গত অক্টোবরে তার এই টুইট পোস্ট মার্কিনিদের মনে বিরুপ প্রভাব ফেলে। নিজের দেশের ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বারবার ভুল তথ্য দিয়েছিলেন ট্রাম্পের এই কর্মকর্তা। যে কারণে বিভিন্ন সময় ট্রোলের শিকারও হয়েছিলেন।
পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন
স্কট তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন- ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘‘বিশেষ উপদেষ্টা’’ পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’ তাকে এই সম্মানে ভূষিত করায় তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। আমি নির্দিষ্ট একটি জিনিসকে কেন্দ্র করে কঠোর পরিশ্রম করেছি। মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং এই মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করতে আমি কাজ করে গেছি। সবসময়ই আমি বিজ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্ররোচনা বা প্রভাব ছিল না।’
পদত্যাগপত্রে ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া জো বাইডেনকেও শুভ কামনা জানিয়েছেন স্কট।