টানা দুই ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে নাস্তানাবুদ হওয়া প্রোটিয়া শিবির শেষ ম্যাচটিতে অন্তত জ্বলে উঠতে চেয়েছিল। যাতে অন্তত ধবলধোলাইয়ের লজ্জা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যাট করতে নেমে সেই কাজটি করেছিল দলটি। তৃতীয় ও শেষ টি- টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বিধিবাম, দিনটি হয়তো আফ্রিকার ছিল না, ছিল ইংল্যান্ডেরই। বিশেষ করে ডেভিড মালানের। এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের প্রবল তাণ্ডবে ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতেছে ৯ উইকেটে। ৩-০-এ সিরিজ জয় ইংল্যান্ডের, ধবলধোলাই দক্ষিণ আফ্রিকা।
কেপ টাউনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ১৯১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ডেভিড মালানের টর্নেডো ইনিংস, সাথে বাটলারের দারুণ ফিফটিতে ১ উইকেটে লক্ষ্যে পৌছে ইংল্যান্ড, তাও ১৪ বল হাতে রেখে।
ম্যাচ জিতলেও এক রানের আফসোস আছে মালানের। কারণ ১ রানের জন্য হয়নি তার সেঞ্চুরি। ছিলেন ৯৯ রানে অপরাজিত। এক পযায়ে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১ রান, মালানের সেঞ্চুরির জন্য দরকার ২ রান। কিন্তু মালান নিতে পারেন এক রান। জয় নিশ্চিত হওয়ায় বল বাকি থাকলেও সেঞ্চুরির সুযোগ মেলেনি মালানের। ১৭.৪ ওভারেই মালান-বাটলারের অবিচ্ছিন্ন জুটি ইংল্যান্ডকে উপহার দেয় রোমাঞ্চের এক জয়।
বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরুতে উইকেট হারায় জেসন রয়ের (১৬)। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সফরকারীদের। বাটলার ও মালানের দুরন্ত ব্যাটিং জয় পাইয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। ৪৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন মালান। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার। সেখানে ৪৬ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার। তিন চারের সাথে তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন পাঁচটি। ম্যাচ সেরা মালানই।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ডুপ্লেসিস ও ভ্যান ডার সনও ঝড় তুলেছিলেন ব্যাট হাতে। মাত্র ৩২ বলে পাঁচটি চার ও ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত তাকেন ভ্যান ডার সন। ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডুপ্লেসিস। তিনি হাঁকান পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা।
সামনে এখন ওয়ানডে সিরিজ। আগামী ৪ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে কেপ টাউনেই।