যেন মৃত্যু মিছিল। ম্যারাডোনা, আলে সাবেয়া বিদায়ের শোকে এখনও আচ্ছন্ন ফুটবল বিশ্বের একটা বড় অংশ। এরই মধ্যে ফের আঘাত হানল মৃত্যু। চলে গেলেন ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো রোসি। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন রোসি। বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যুর খবর দেয় ইতালির এক সংবাদমাধ্যম।
একটা সময় ঘুষকাণ্ডে নাম জড়িয়ে কেরিয়ার শেষ হতে বসেছিল রোসির। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পরই নিজের পায়ের জাদুদে ইতালি তথা গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করেন তিনি। ১৯৮২ সালে কার্যত একার হাতে ইতালিকে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন রোসি। বিশ্বকাপে সোনার বল, সোনার বুট ও ওই বছরের ব্যালন ডি অর’, তিনটি পুরস্কারই জিতেছিলেন ‘পাবলিতো’। তিনিই প্রথম ফুটবলার যিনি কিনা একই সঙ্গে এই তিন পুরস্কার জেতেন। তারপর ২০০২ সালে ব্রাজিলের রোনালদো একসঙ্গে এই তিন পুরস্কার জিতেছেন।
উইঙ্গার হলেও কেরিয়ারের দীর্ঘ সময় সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছেন রোসি। বিরাশির বিশ্বকাপে তার মহানায়কোচিত পারফরম্যান্স আজও মনে রেখেছে ইতালি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে ৩-২ গোলে দলকে জেতান রোসি। সেমিফাইনালে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেন জোড়া গোল। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জেতে ইতালি। সেই ম্যাচের প্রথম গোলও তারই করা। ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েরি ও রবার্টো বাজ্জিওর সঙ্গে ইতালির হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৯ গোল করার রেকর্ড তারই দখলে।
ইতালির হয়ে ৪৮ ম্যাচে করেছেন মোট ২০টি গোল। ক্লাব কেরিয়ারেও সমান সফল ছিলেন রোসি। জুভেন্তাস, এসি মিলানের মতো প্রথম সারির ক্লাবে খেলেছেন। বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে মোট ৩৩৮ ম্যাচে ১৩৪টি গোল আছে তার। দু’বার জিতেছেন সিরি আ, রয়েছে ইউরপিয়ান ট্রফিও। কিংবদন্তি তারকার পরলোকগমনে ইতালির ফুটবলে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো। প্রিয় ‘পাবলিতো’র পরলোকগমনে শোকাচ্ছন্ন ওই দেশের ফুটবল মহল।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন