নিউইয়র্ক সহ যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ শুরু হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর সোমববার থেকে শুরু হওয়া কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাংলাদেশীরাও গ্রহণ করেছেন। ভ্যাকসিনগ্রহণকারী বাংলাদেশীরা ভালো এবং সুস্থ্য আছেন বলে জানা গেছে। জানা যায়, নিউইয়র্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী চিকিৎসকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাসুদুল হাসান সর্বপ্রথম কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটান লার্নিং ইউন্সটিটিউট-এর প্রফেসর ও ডিরেক্টর ডা. মাসুদুল হাসান গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ম্যানহাটানের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ফাইজার আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন গ্রহন করেন। একই দিন সকাল ১১টার দিকে একই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেল মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও প্রোভিন্স ষ্টেট জোসেফ হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন ফিজিশিয়ার ডা. রবি আলম। এছাড়াও বৃহস্পতিবার কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যেও আটলান্টায় বসবাসকারী বাংলাদেশী ফজলে খান।
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের একটি নার্সিং হোমে কর্মরত বাংলাদেশী-আমেরিকান স্বাস্থকর্মী মাইশা জিলু কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। তিনি শুক্রবার ফাইজারের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহন করেন বলে মাইশা’র বাবা জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জিলু ইউএনএ প্রতিনিধি-কে জানান। মাইশা কাজের পাাপাশি একটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও পড়ালেখা করছেন। সে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কন্যা।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের পর ডা. মাসুদুল হাসান গত ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার এই প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে বলেন, আমি ভালো এবং সুস্থ্য আছি। এখন পর্যন্ত কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করছি না। ভ্যাকসিন নিয়ে মায়িশা বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি ভালো আছি। কভিড মোকাবেলায় সবাইকে ভ্যাকসিন নেয়া উচিৎ বলে তিনি মন্তব্য করেন।।