বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন

হোম কেয়ার নিয়ে তালগোল পাকাচ্ছে স্টেট গর্ভনমেন্ট: মামলার প্রস্তুতি

বাংলাদেশ ডেইলি অনলাইন:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৪ বার

হোম কেয়ার সেবা নিয়ে অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে গর্ভনর ক্যাথি হোকল। লাখো মানুষের সেবা কোটারি গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দিচ্ছে নিউইয়র্ক স্টেট। ৬৭টি হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠান জোটবদ্ধ হয়ে গর্ভনরের বিরুদ্ধে আদালতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই সিডিপ্যাপ নিয়ে নিউ ইয়র্ক স্টেটের বিরুদ্ধে ফ্রীডম কেয়ার এলএলসির মামলা দায়ের করেছে।

নিউ ইয়র্ক ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ কোন প্রকার উম্মুক্ত নীলাম প্রক্রিয়া ব্যতিরেকে অন্য ষ্টেটে রেজিষ্ট্রীকৃত একটি মাত্র কোম্পানীকে সিডিপ্যাপ হোম কেয়ার কর্মসূচি পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছে এমন অভিযোগে নিউ ইয়র্ক ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ এর বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে ফ্রীডম কেয়ার এলএলসি নামের নিউ ইয়র্কের একটি হোমকেয়ার কোম্পানী। আদালতে প্রদত্ত অভিযোগে জানানো হয়েছে, নিউ ইয়র্ক ষ্টেটে বর্তমানে সেবা প্রদানকারী সকল সিডিপ্যাপ হোমকেয়ার কোম্পানীর পরিবর্তে মাত্র একটি কোম্পানী তাও আবার জর্জিয়া ষ্টেটে রেজিষ্ট্রীকৃত কোম্পানী পাবলিক পার্টনারশীপ এলএলসিকে নিউ ইয়র্ক ষ্টেটে সিডিপ্যাপ হোমকেয়ার কর্মসুচী পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে যা সম্পুর্ণ বেআইনী, এক তরফা এবং গ্রাহকদের স্বার্থবিরোধী। ফ্রীডম কেয়ার এলএলসির কৌসুলীরা অভিযোগ করেছেন মাত্র একটি কোম্পানী পিপিএলকে এই সুযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি ছিল সম্পুর্ণ সাজানো নাটক। নিউ ইয়র্ক ষ্টেটেে গভর্ণর ক্যাথি হোকুল অবশ্য বলেছেন, যে অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তার কোন সত্যতা নেই। গভর্ণর আরো বলেছেন, নীলামের প্রক্রিয়াটির ভাষা নির্ধারণ করে দিয়েছিল নিউ ইয়র্ক ষ্টেটের আইন প্রণেতারা।

মুলত: সেবার মান অব্যাহত রেখে খরচ কমানোর লক্ষ্যেই নিউ ইয়র্ক ষ্টেটের সিডিপ্যাপ হোমকেয়ার কর্মসুচী পরিচালনায় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ৫ বছরে সিডিপ্যাপ হোমকেয়ার কর্মসুচীতে ব্যয় বছরে ২.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে।

আগামী জানুয়ারী থেকে মাত্র একটি কোম্পানী পিপিএল এর পরিচালনায় নিউ ইয়র্ক ষ্টেটে সিডিপ্যাপ হোমকেয়ার কর্মষুচি পরিচালনা শুরু হওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত রয়েছে এবং এপ্রিলের মধ্যে তা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আইনী প্রক্রিয়ার কারণে এ কর্মসূচিতে পরিবর্তন হতে পারে।

এ বিষয়ে গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘ সিডিপ্যাপ সেবা গ্রহীতারা আসলেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। নতুন নিয়মে অনেক বিষয় তাদের বোঝার বাইরে থাকবে। ফলে তাদেরকে লেকসা আছে এমন হোম কেয়ারের সঙ্গে যোগাগোগ করা উচিত। সময় নষ্ট করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের গ্রাহকদের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ আমাদের নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে, যেখান থেকে সেবাদানকারীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এইচএইচএ/পিসিএ সার্টিফিকেট নিতে পারবেন। পাশাপাশি গোল্ডেন এজের লেকসা লাইসেন্সতো রয়েছেই। এছাড়া গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের এনএইচটিডি এবং টিবিআই লাইসেন্সও রয়েছে। বিভিন্ন বরোতে আমাদের বেশকয়েকটি অফিসও রয়েছে। সেগুলোর যে কোন একটিতে গিয়ে নতুন বা বিদ্যমান কোন গ্রাহক প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবেন।

এদিকে শুক্রবার জ্যামাইকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলা সিডিপ্যাপ ও আলেগ্রা হোম কেয়ারের প্রধান নির্বাহী স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, সিডিপ্যাপ কখনো বন্ধ হবেনা। কোন প্রকার গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, মাত্র একটি কোম্পানী পিপিএলকে নিউ ইয়র্ক ষ্টেটে সিডিপ্যাপ হোমকেয়ার কর্মসুচী পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও মামলা দায়ের করা হচ্ছে ।

এল্ডার হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ বলেছেন, মাত্র ১৪টি এজেন্সীর মাধ্যমে সিডিপ্যাপের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে কমিউনিটি বেজড হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বাংলাদেশি এজেন্সীগুলোকে নির্দিষ্ট ১৪টি এজেন্টের মাধ্যমে সাব এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে হবে। এটি সেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য ভালো হলো না। মাইনোরিটি কমিউনিটি ক্ষতিগ্রস্থ হবে এতে কোন দ্বিধা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com