বড়দিনের তিনদিন আগে ফ্লোরিডার পাম বিচে অবস্থিত ক্লাব মার-এ-লেগোতে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে গিয়ে নিজের মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজের ব্যক্তিগত মহলে পরিবর্তনগুলো ট্রাম্পের পছন্দ হয়নি। বিশেষ করে তার স্ত্রী মেলানিয়ার তত্ত্বাবধানে যে সংস্কার আনা হয়েছে তা প্রেসিডেন্টের মনপুত হয়নি, যে কারণে তার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ক্ষমতা ছাড়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার স্ত্রী ও ছেলে ব্যারনকে নিয়ে ফ্লোরিডার পাম বিচে তার বাংলোতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে যাবেন। ব্যারন বর্তমানে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে, সেখান থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন মেলানিয়া। এর মধ্যে তিনি মার-এ-লেগোতে সংস্কার কাজ করেন। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুটের এ বাসস্থানটির সংস্কার কাজ করা হয়। মূলত, ক্লাব মার-এ-লেগোর ভেতরে ও বাইরে কিছু ডিজাইন একেবারেই পরিবর্তন করা হয়, যা ট্রাম্প পছন্দ করেননি।
এর কারণ হিসেবে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলেছে, প্রেসিডেন্ট মূলত মার-এ-লেগো’র যে নান্দনিকতা ছিল তার অভাববোধ করছেন। সূত্র বলছে, তিনি এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এটি আলোচনার মাধ্যমে নয়, বরং একতরফাভাবে করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস এখন পর্যন্ত সিএনএন’র এ প্রতিবেদনের জন্য কোনো বক্তব্য দেয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মেলানিয়া ও তার ইন্টেরিয়র ডিজাইনার থম কন্নালিখম ক্লাব মার-এ-লেগোতে বেশকিছু সংস্কার কাজ করেন। কিন্তু তিনি যে জায়গার নিজস্ব কর্মী ছিলেন না এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প তা ভালো করেই জানতেন।
এবারই প্রথম নয়, যেখানে একজন প্রেসিডেন্ট তার ব্যক্তিগত পছন্দ দিয়ে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’র সময় তিনি তার আরেকটি প্রকল্প ‘ক্যাম্প ডেভিড’ বেড়াতে গিয়ে এর সংস্কার নিয়ে ফার্স্ট লেডির ওপর খুশি হতে পারেননি।
মার-এ-লাগোর সূত্রটি উল্লেখ করেছে, ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে সেখানে গিয়ে সংস্কারকাজ গুলো দেখে বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তিনি ভবনের সাদা মার্বেল পাথরের মেঝে ও কালো কাঠের তৈরি ডেকোরেশনগুলোর অপসারণের করা উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু, সেগুলো আগের অবস্থানেই ছিল।