পেঁয়াজের বাজারে এখন আগুন। দাম বাড়ায় একে একে ছাড়িয়ে যাচ্ছে সব পণ্যকে। আগে যেখানে এক কেজি আঙুর কিনতে ১১ কেজি পেঁয়াজের অর্থ ব্যয় করা হতো। কিন্তু এখন ঠিক এর ভিন্ন চিত্র। এখন দামের দিক দিয়ে আঙুরকেও ছাড়িয়ে গেছে পেঁয়াজ। দফায় দফায় দাম বেড়ে রাজধানীর কাঁচাবাজারে এখন সব থেকে বেশি দামের পণ্যের তালিকায় সবার ওপরে স্থান করে নিয়েছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ যেন অপ্রতিরোধ্য।
সপ্তাহের ব্যবধানে তিন দফায় কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে এখন পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকায় পৌঁছেছে। এ অবস্থায় দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রোববার (১৭ নভেম্বর) থেকে জরুরিভিত্তিতে কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরকারিভাবে টিসিবি তুরস্ক এবং বেসরকারি খাতের এস আলম গ্রুপ মিশর থেকে পেঁয়াজ আনবে।
এদিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা জোনায়েদ আহমেদ পলক একটি পেঁয়াজ কিনেছেন ৬৪ টাকা দিয়ে। ভারতীয় বড় সাইজের এ পেঁয়াজ ১৭০ টাকা হিসেবে ৩২৪ গ্রাম ওজনের দাম ৬৪ টাকা।
চুনারুঘাট গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ দোকানে এখন পেঁয়াজ নেই। আর এ সুযোগে পেঁয়াজ এখন দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে সেখানে। দেশীয় পেঁয়াজ দাম বেশি হলেও ভারতীয় বড় পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার পেঁয়াজ বাড়তে বাড়তে এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন দোকানে বড় পেঁয়াজ ৪টি, ৬টি করেও বিক্রি হয়েছে।
তবে শুক্রবার পৌর শহরের অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকলেও বিকালে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় পেঁয়াজের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের বাজারে এখন পেঁয়াজ পাওয়াই যাচ্ছে না।
আড়তদাররা জানিয়েছেন, দাম বেশি পেঁয়াজ কেউ আনছেন না। দাম সহনশীল না হলে কোনো পাইকাররাই পেঁয়াজের বড় কোনো চালান আনবেন না।