‘বর্তমানে দেশে কাজের অভাব নেই। এমন একটা সময় ছিল যখন দেশে কর্মসংস্থানের অভাব ছিল। যুব সমাজ যারা কর্মক্ষম তারা কাজ খুঁজে পেতেন না। কিন্তু বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে। তাই বিদেশে না গিয়েও নিজেকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী হিসেবে গড়ে তুলে দেশেই চাহিদা অনুযায়ী অর্থ উপার্জন সম্ভব।’
আজ বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটা অনুরোধ করবো, আমাদের এ শ্রমিক অভিবাসনের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে রিক্রুটিং এজেন্ট থেকে শুরু করে আমাদের মন্ত্রণালয়, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, এদেশের মানুষও কিন্তু মানুষ, সেভাবে তাদের মর্যাদা দিতে হবে। যারা বিদেশে যেতে চান, তাদের কর্মসংস্থান ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, তাদের নিরাপত্তা ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, বিশেষ করে মেয়েরা, যারা যান, তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
এ সময় বিদেশ নামক সোনার হরিণের পেছনে অন্ধের মতো না ছোটার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যে কোনো দেশে যাওয়ার আগে কোথায় যাচ্ছেন, কী কাজে যাচ্ছেন তা ভালোভাবে জেনে নেবেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কাজের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ওই কাজে নিজেকে দক্ষ কর্মী হিসেবে তৈরি করে বিদেশে গেলে আর হেনস্থার শিকার হতে হবে না।’
‘দেশের আর্থসামাজিক ও অর্থনীতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রবাসীরা বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাদের সার্বিক কল্যাণেও বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে’ বলে জানান সরকার প্রধান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রনালয়ের সচিব ড.আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান ও সিআইপি (এনআরবি) সনদ প্রদান করা হয়।