যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন কমালা হ্যারিস। দেশটির ইতিহাসের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রেকর্ড গড়া কমালা আজকের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে গতকাল একটি টুইটে লেখেনঃ
‘আমি যখন আমার ডান হাত উপরে তুলি এবং আগামীর দায়িত্বের জন্য শপথ নিই, তখন আমার সাথে দু’জন বীরকে সাথে করে নিয়ে যাই যারা অসহায়দের হয়ে কথা বলেন এবং অভাবীদের সহায়তা করেন: বিচারপতি থুরগড মার্শাল এবং মিসেস শেলটন।’
অনেকেই জানেন, প্রয়াত মার্শাল হলেন নাগরিক অধিকার আইকন এবং সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি। তিনি কমালার হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এবং কমালার ভাবনায় এই বিষয় গেঁথে দিতে সাহায্য করেন যে ‘আইন’ বিষয়কে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানো যায়।
কিন্তু কে এই শেলটন? এ প্রশ্ন সবার মনে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দ্য মার্কারি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে বিস্তারিত।
মিসেস শেলটনের পুরো নাম রেজিনা শেলটন। ওকল্যান্ড আর ক্যালিফোর্নিয়ায় তার তিনটি বাড়ি রয়েছে এবং সেগুলোর একটিতে তিনি নার্সারি স্কুল চালাতেন। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে তিনি ছোট্ট দুই বোনের দেখাশোনা করতেন যে সময়টায় তাদের ‘সিংগেল’ মা কাজ করে দেরিতে বাসায় ফিরতেন। সে দুই বোন আর কেউ নন।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলা কমালা আর তার বোন মায়া।
কমালা জীবনে যখনই বড় কোন পদের দায়িত্বগ্রহণে শপথ নিয়েছেন তখনই তার বাম হাত ছিল এক কৃষ্ণাঙ্গ নারীর বাইবেলের উপর। কি ক্যালিফোর্নিয়ার এটর্নি জেনারেল, কি সিনেটর সবসময়ই তা হয়ে এসেছে। আজকেও যে তার পুনরাবৃত্তি হবে কমালার টুইটেই তার আভাস পাওয়া গেছে৷ সে বাইবেল আর কারো নয়, মিসেস শেলটনের।
কমালার মা শ্যামলা গোপালান যখন স্বামী ডনাল্ড হ্যারিসের সাথে সদ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে তার ছোট্ট দুই মেয়ের দেখাশোনা করা এবং থাকার জন্য জায়গা খুঁজছিলেন সেই উত্তাল সময়েই মিসেস শেলটনের সাথে তার পরিচয়। শেলটনের নার্সারির উপরের একটি ফ্ল্যাটে উঠেন তারা। তাদের মধ্যে সম্পর্ক খুব দ্রুত এতো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে যে কমালা শেলটনকে তার দ্বিতীয় মা বলে ডাকতে থাকেন।