বৃটেনে গতকাল কোভিডে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৮২০ জন। হাসপাতালসমূহ এযাবৎ কালের ভয়াবহতম দিনটি অতিক্রম করেছে। কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক নতুন রেকর্ড ব্রেক হচ্ছে। এ সপ্তাহের মৃত্যুর সংখ্যা গত সপ্তাহ থেকে ১৬ শতাংশ বেড়েছে। ৩৮ হাজার ৯০৫ জন নতুনভাবে ভাইরাস ধরা পড়েছে। মোট সংক্রমণ ৩৫ লাখ এবং মৃত্যু লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন ‘ভয়ঙ্কর’ সময়ে সকলকে সর্বাত্মক সতর্ক ও বিধি মেনে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন, টিকাদান দ্রুত চলছে, খুব শিগগিরই ভোরের আলো সত্যি হতে শুরু করবে।
আমাদের অবশ্যই আশা করা উচিৎ প্রতিদিনের সংক্রমণের সংখ্যা কমে যাওয়ার মাধ্যমে মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেতে থাকবে।
মি. জনসন জোর দিয়ে বলেছেন, ভাইরাসজনিত ঘটনার চেয়ে ভ্যাকসিন প্রদান প্রক্রিয়া অধিকতম দ্রুত এগুচ্ছে। মহামারীটির সবচেয়ে অন্ধকার দিনটিতে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেয়া বক্তব্য মি. জনসন বলেছেন, এই ভীষণ হতাশাব্যঞ্জক সময়ে আমি মৃত্যুবরণকারীদের এবং তাদের বন্ধুদের এমন যন্ত্রণার কথা চিন্তা করি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৪ মিলিয়নেরও বেশি টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত এগিয়ে চলেছি। আক্ষরিক অর্থে সময়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতা, প্রবীণদের এবং দুর্বলদের সুরক্ষার জন্য প্রথম চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিকে এনএইচএসের ওপর মারাত্মক চাপ তৈরি হয়েছে। ডাক্তার ও তাদের স্টাফগন অক্সিজেন কীভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে ‘কঠোর সিদ্ধান্ত’ নিতে হচ্ছে। কারে দেবেন আর কে বাদ পড়বে- এ নিয়ে তারা নৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়েছেন।