বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন

ভোট দিয়েছে প্রশাসন, আর তাকিয়ে ছিল জনগণ : রুমিন ফারহানা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১৬৬ বার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটের দিন আজ বুধবার সংসদেও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এদিন বিএনপি সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘এখন অবস্থা এমন যে সুষ্ঠু হয়েছে নির্বাচন, ভোট দিয়েছে প্রশাসন, আর তাকিয়ে ছিল জনগণ।’

এর আগে আজ বিএনপির আরেক সাংসদ হারুনুর রশীদের ভোট নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘মানুষ জিয়াউর রহমানের আমলে হ্যাঁ-না ভোট দেখেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছে। তখন ভোটে ব্যালট বাক্স পাওয়া যেত না। ভোট যে দেবে, ব্যালট বাক্স নেই। যাদের এই চরিত্র, তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করতে হয়, সেটা শেখার প্রয়োজন নেই।’

এর জবাবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ভোটটা সুষ্ঠু করে করলেইতো হয়। কারও থেকে ভোট শিখতে হবে না। ভোট কীভাবে দিতে হয় সেটা সবাই জানে। ভোটটা যেন ভোটার তার পছন্দ মতো প্রার্থীকে দিতে পারে এইটুকু সুযোগ দেওয়া হয়। যদি ব্যালট বাক্স আগে থেকে ভরে রাখা না হয়, যদি নৌকা মানেই জেতা এই অবস্থা না করা হয়, তাহলেই হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যদি ভোট কারও থেকে শিখতে হয় তাহলে তো দুঃখজনক।’

এদিন রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর বিন্যাস নিয়ে কথা বলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে সেপারেশন অফ পাওয়ার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটি রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা, আইন প্রয়োগ করার ক্ষমতা এবং বিচার করার ক্ষমতা রাষ্ট্রের ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার কাছে থাকার কথা। এই তিনটি সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে এটা সেপারেশন অফ পাওয়ারের মূল নীতি।’

সংবিধানের সূত্র ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদের দিকে তাকাই, সেখানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার কথা বলা আছে, সেপারেশন অফ পাওয়ারের কথা বলা আছে।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সংবিধানের মূল নীতি এই ২২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক হচ্ছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আদালত চালানো। এটা নিয়ে রিট হয়েছে, সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আদালত পরিচালনা করা যাবে না। সেই সুস্পষ্ট রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে কিন্তু আপিলের রায় এখনো দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘সেই আপিলের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে এবং এই স্থগিতাদেশের সুবিধা নিয়ে এখনো মোবাইল কোর্টগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com