অভিষেকেই ডাবল সেঞ্চুরি। রেকর্ড ওলট পালট ইনিংসে দলকে উপহার দিয়েছিলেন রূপকথার জয়। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে হারানোর পর খুশিতে উদ্বেলিত ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স দ্বিতীয় টেস্টে ৫ রানে সাজঘরে ফিরেছেন।
প্রথম টেস্টে ২১০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বল খেলেছিলেন ৩১০। বিশ চার ও সাতটি চারে সাজানো মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন তিনি। আজ আর তা হয়ে ওঠেনি। ১৮ বলে ৫ রান করে আবু জায়েদ রাহির শিকারে পরিণত হয়েছেন।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা হতাশায় গেলেও দ্বিতীয় সেশনে দারুণভাবে ফিরেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৩২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আবু জায়েদ রাহি তুলে নেন মোসলির উইকেট। এর পরে ইনিংসের ৪৮তম ওভারে দ্বিতীয়বার আবু জায়েদ রাহি আঘাত আনেন উইন্ডিজ শিবিরে। তুলে নেন মায়ার্সের উইকেট। এর আগে ৪২তম ওভারে বল হাতে সৌম্য তুলে নেন ব্রাথওয়েটসের মূল্যবান উইকেটটি।
মোসলি সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৭ রান করেন। অন্যদিকে ব্রাথওয়েট করেন ১৪১ বলে ৪৭ রান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যাথওয়েট ও ক্যাম্পবেল। খুব ভালো বোলিং করতে পারছিল না বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় ১৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
একটা সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। তবে দলে ফেরা পেসার আবু জায়েদ চৌধুরির বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচেন ক্যাম্পবেল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে লেগ স্টাম্পের ওপর দিয়ে যেত বল।
দ্বিতীয় ঘন্টায় প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সে সাফল্য আসে স্পিনারদের হাত ধরে। ২০.৪ ওভারে তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ ক্যাম্পবেল। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। সাজঘরে ফেরত যান ক্যাম্পবেল ৬৮ বলে ৩৬ রান করে।
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ এনেছে তিনটি পরিবর্তন। চোটের জন্য ছিটকে যাওয়া ওপেনার সাদমান ইসলামের জায়গায় এসেছেন সৌম্য সরকার। ঊরুর চোটে ছিটকে যাওয়া সাকিব আল হাসানের জায়গায় এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বাড়তি পেসারের আভাস দিলেও কার্যত তা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে বোলিংয়ের কারণে বাদ পড়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলে ফিরেছেন টেস্টে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সফলতম পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে এনেছে একটি পরিবর্তন। পেসার কেমার রোচের পরিবর্তে দলে ফিরেছেন তরুণ পেসার আলজারি জোসেফ।