যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত তার সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের কোনো ভবিষ্যত নেই। নতুন এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় ট্রাম্প সরাসরি জড়িত বলে তার সমালোচনা করেছেন নিকি হ্যালি। তিনি শুক্রবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিকো ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের মেনে নিতে হবে যে, তিনি আমাদের অবনমন করেছেন। তিনি যে পথে নমে গেছেন, তা হওয়া উচিত ছিল না। তাকে অনুসরণ করা উচিত নয় আমাদের। তার কথায়ও পাত্তা দেয়া উচিত নয়। আর এসব হতে দেয়া উচিত নয় আমাদের।
সাক্ষাৎকারে নিকি হ্যালি ৬ই জানুয়ারিতে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ওপর ট্রাম্প যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার জন্য ক্রোধ প্রকাশ করেন। নিকি হ্যালি বলেছেন, ওই ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আর কথা বলেননি। ৬ই জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়ার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন মাইক পেন্স। এ জন্য তার সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। ওই সময় সেখানে দাঙ্গাকারীরা হামলা চালায়। তারা মাইক পেন্সকে হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে পলিটিকোকে নিকি হ্যালি বলেন, যখন আমি বলবো এ ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ, তা কম করে বলা হবে। মাইক পেন্স ট্রাম্পের কাছে একজন অনুগত ব্যক্তি ছাড়া কিছু ছিলেন না। তিনি ট্রাম্পের একজন ভাল বন্ধু ছাড়া কিছুই ছিলেন না। কিন্তু তিনি পেন্সের সঙ্গে যা করেছেন তাতে আমি হতাশ। তা সত্ত্বেও নিকি হ্যালি মনে করেন ট্রাম্পকে অভিশংসন প্রক্রিয়া সময়ের অপচয় ছাড়া কিছু নয়। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট সদস্য ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা ট্রাম্পকে বেকসুর খালাস দেয়ার পক্ষে ভোট দেবেন। তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হতে হলে সিনেটের দুই তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। ট্রাম্পকে কি জবাবদিহাতায় আনা উচিত কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে নিকি হ্যালি বলেন, আমি মনে করি তিনি নিজেকে বেশি থেকে বেশি নিঃসঙ্গ অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন। তার ব্যবসা এখন মার খাচ্ছে। রাজনৈতিক দিক থেকে তিনি অনেকটা হারিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি হেরে গেছেন। আমার মনে হয় তাকে যেসব ফ্যাক্টর সজীব রাখতো তিনি তার সবই হারিয়েছেন।