দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার শ’ রান। ব্যাট হাতে দুই দলের কয়েক ব্যাটসম্যানের দারুণ ঝড়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ম্যাচ কমই দেখা যায়। অনেকদিন পর তা দেখা মিলল ডানেডিনে। যেখানে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চার রানে হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড করে সাত উইকেটে ২১৯ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ২১৫ রানে। ৫০ বলে ৯৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল।
এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১৫১ রান পযন্ত। গাপটিলকে ফিরিয়ে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন অস্ট্রেলিয়ার স্যামস। কিন্তু যাওয়ার আগে অসি বোলারদের বেদম পিটিয়ে গেছেন গাপটিল। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি। ৫০ বলে করেন ৯৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও আটটি ছক্কার মার।
হাফ সেঞ্চুরি করেন কিইউ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল দুটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। শেষের ঝলকটা দেখিয়েছেন জিমি নিশাম। ১৬ বলে তিনি থাকেন ৪৫ রানে অপরাজিত। একটি চারের পাশাপাশি তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ছয়টি। নিশামের ব্যাটেই মূলত দুই শ’ অতিক্রম করে নিউজিল্যান্ড।
এর পর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউ ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জাই রিচার্ডসন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ পযন্ত লড়েছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। লেজের সারির ব্যাটসম্যানরা আশা জাগিয়েও পারেনি। এক ছক্কা ও এক চারে আসে ১০ রান। জয়ের সমীকরণ মেলাতে পারেননি স্টয়নিস-রিচার্ডসনরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৭ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মিডল অর্ডারে মারকুস স্টয়নিস। তার ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও পাচটি ছক্কার মার। ৩২ বলে ৪৫ রান করেন ওয়ান ডাউনে নামা জশ ফিলিপ। লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দারুণ ঝলক দেখান ড্যানিয়েল স্যামস। মূলত বোলার হলেও ব্যাট হাতে ১৫ বলে খেলেন ৪১ রানের টর্নেডো ইনিংস। চারটি ছক্কা ও দুটি চার ছিল তার ইনিংসে।
ওপেনার ম্যাথু ওয়েড ২৪ ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ করেন ১২ রান। মিডল অর্ডারে অ্যাস্টন অ্যাগার ও মিশেল মার্শ স্বাদ পান গোল্ডেন ডাকের।
বল হাতে নিউজল্যান্ডের হয়ে চারটি উইকেট নেন মিশেল সান্টনার। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা নিশাম বল হাতেও নেন দুটি উইকেট।
আগামী তিন মার্চ ওয়েলিংটনে হবে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ নিশ্চিত হবে নিউজিল্যান্ডের।