ইতালিয়ান সিরিআতে শেষ ম্যাচে ভেরোনার মাঠে হোচট খেয়েছিল জুভেন্টাস। কক্ষপথে ফিরতে জয়ের বিকল্প ছিল না। মঙ্গলবার রাতে জিতেছে তুরিনের ওল্ড লেডিরা। স্পেজিয়াকে ৩-০ গোলে হারায় দলটি।
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমাগত জালের দেখা পেতে থাকে পিরলো বাহিনী। শেষ মুহূর্তে স্কোরশিটে নাম লেখান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও।
আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে শুরুতেই গোল খেতে বসেছিল জুভেন্টাস। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে স্পেজিয়ার ডিফেন্ডার রিকার্দো মার্কিসার শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৯ রোনালদোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
প্রথমার্ধ নিষ্ফলা গোলশূন্য। ৬১ মিনিটে একসাথে দুটি পরিবর্তন করেন কোচ পিরলো। ওয়েস্টন ম্যাককেনির জায়গায় মোরাতা ও ফ্রাবোত্তার বদলি ফেদেরিকো বার্নারদেস্কিকে নামান তিনি। এই দুই বদলির নৈপুণ্যেই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র।
৬২ মিনিটে প্রথম ছোঁয়ায় গোল করেন মোরাতা। প্রথমে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও পরে ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। ৭১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেডরিকো চিয়েসা। চিয়েসার নেয়া প্রথম শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক, কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। ছুটে গিয়ে আলগা বল জালে পাঠান ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড (২-০)।
শেষটা রাঙান রোনালদো ৮৯ মিনিটে। রদ্রিগো বেন্তানকুরের পাসে নিখুত শটে বল জালে জড়ান সিআরসেভেন (৩-০)। লিগে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন রোনালদো। আসরে তার মোট গোল হলো ২০টি।
অতিরিক্ত সময়ে একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল স্পেজিয়া। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। গিয়াসি ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় স্পেজিয়া। কিন্তু স্পট কিকে আন্দ্রে গালাবিনোভোর শট ঠেকিয়ে দেন জুভ গোলরক্ষক স্ট্যাসনি।
২৪ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে জুভেন্টাস। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইন্টার মিলান। ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে এসি মিলান।