সেমির প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠে ২-০ গোলে হার। ফাইনালে যেতে হলে ঘরের মাঠে বার্সাকে জিততে হবে ৩-০ ব্যবধানে। সমীকরণটা বেশ কঠিন ছিল কাতালানদের জন্য। শেষ পর্যন্ত সব হিসেব মিলাতে পেরেছে মেসিরা। রোমাঞ্চকর এক জয়ে সেভিয়াকে হারিয়ে কোপা দেল রের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে বার্সেলোনা। জয়ের ব্যবধান ৩-০। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধানটা ৩-২।
ম্যাচের প্রায় ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে বার্সেলোনা গোলের উদ্দেশে মোট ২২টি শট নেয়। এর আটটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে দৃষ্টিকটু রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা সেভিয়ার ছয় শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
ঘরের মাঠে ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। দারুণ শটে গোল করেন দেম্বেলে। ৩০ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারতো। তবে মেসির গোলমুখে বাড়ানো বলে পা লাগাতে পারেননি ফ্রেংকি ডি ইয়ং। দুই মিনিট পর মেসির শট এক জনের পায়ে লেগে উঁচু হয়ে ফাকা জালে জড়াতে যাচ্ছিল, শেষ মুহুর্তে ঠেকান সেভিয়া মিডফিল্ডার মার্কোস আকুনা।
ফলে স্বাগতিকদের সব আক্রমণ ভেস্তে যাচ্ছিল প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণে। এর মাঝে ৬৭ মিনিটে তাদের হতাশা বাড়ে; দেম্বেলের ক্রসে জর্দি আলবার দারুণ ভলি ক্রসবারে লাগে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। তখন চলে ইনজুরি টাইম। বাদ পড়ার শঙ্কা বার্সার। এরই মধ্যে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সেভিয়ার ফার্নান্দো। ম্যাচ শেষ হতে তখন বাকি আর কিছুক্ষণ। মরিয়া হয়ে উঠেছে বার্সেলোনা, তাদের ঠেকিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সেভিয়া। এমন সময় তাদের হতবাক করে সমতায় ফেরে কাতালান ক্লাবটি। বদলি অঁতোয়ান গ্রিজমানের বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রসে হেডে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান পিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচে আসে ২-২ সমতা।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ৯৫ মিনিটে ফাইনাল নিশ্চিত করা গোলটি করেন বার্সার ব্রাথওয়েট। ১০৩ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন সেভিয়ার লুক ড লং। শেষ অবধি রোমাঞ্চকর এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
কোপার ফাইনালে বার্সার প্রতিপক্ষ সেমি-ফাইনালে লেভান্তে ও আথলেটিক বিলবাওয়ের মধ্যে বিজয়ী দল।