নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশ দলের। শেষ ম্যাচে সম্মান রক্ষার সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি ক্রিকেটাররা, হতে হলো হোয়াইট ওয়াশ। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে বিশৃঙ্খলার পূর্ণ রূপ দেখিয়ে হারল ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কিউইরা এ ম্যাচে ৩১৯ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশের সামনে। জবাবে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা করতে পারে ১৫৪ রান। তবে এক প্রান্তে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭৬ রান করে নট-আউট ছিলেন। মিডল অর্ডারের এই ব্যাটসম্যানকে সঙ্গ দিতে পারেননি লোয়ার অর্ডারের কেউ। তবে তার রান বাড়িয়ে নিতে তাসকিন-রুবেলরা উইকেট কামড়ে পড়ে ছিলেন।
মাহমুদুল্লাহ ছাড়া রান পাননি বাংলাদেশ দলের কেউ। ওপেনার লিটন দাস আশা দেখিয়ে ফিরে যান ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এছাড়া মুশফিকুর রহিম করেন ২১ রান। দশের ঘরে রান নিতে পারেননি আর কেউ। তবে মোহাম্মদ মিঠুন ৬ রান করতে মুখোমুখি হয়েছেন ৩৯ বলের। মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গ দিতে তাসকিন-রুবেলও খেলেছেন বেশ কিছু বল।
এর আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১২৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া এই ব্যাটসম্যান বুঝতেই দেননি দলীয় অধিনায়ক কেন ছিলেন না। ১৭ চারে সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন ম্যাচের মধ্যে একটি ফিফটিও করেছেন তিনি। এছাড়া ছয়ে নেমে ডার্ল মিশেল খেলেন ১০০ রানের দারুণ ইনিংস। তার ব্যাট থেকে নয়টি চার ও দুটি ছক্কা দেখা যায়।
বাংলাদেশকে তিন ম্যাচের ওয়ানডের শেষ এই ম্যাচে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন ম্যাট হেনরি ও জেমি নিশাম। তারা যথাক্রমে চারটি ও পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। পেসার তাসকিন আহমেদ ভালো বোলিং করলেও মুস্তাফিজুর ছিল খুবই খরুচে।