যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি। ক্যাম্প ডেভিডে ইস্টার সানডের ছুটিতে থাকা অবস্থায় দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন একথা বলেন। ক্যাপিটলে হামলার কিছুক্ষণ আগেই হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাম্প ডেভিডে গিয়েছিলেন তিনি।
হামলার ঘটনা শোনার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমি আর জিল (আমেরিকার ফার্স্ট লেডি) খুবই মর্মাহত। এটা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা। ক্যাপিটলে হামলায় একজন দক্ষ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এর আগে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল ভবনে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে। গাড়ি দিয়ে চালানো এই হামলায় নিহত হন ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন আরও এক পুলিশ সদস্য। এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীও। হামলার পর ক্যাপিটল ভবন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একটি নীল রঙের সেডান গাড়ি এসে ক্যাপিটলের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা দুই পুলিশ সদস্যকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপর পুলিশ সদস্যদের পেছনে থাকা ব্যারিকেডে আঘাত করে গাড়িটি। এরপর ছুরি হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত চালক। এসময় পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে মারা যান ওই ব্যক্তি।
অন্যদিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান গাড়ির ধাক্কায় আহত পুলিশ সদস্যও। নিহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম উইলিয়াম ইভানস। এদিকে নাশকতার উদ্দেশে এই হামলা চালানো হয়নি বলে প্রাথমিক তদন্তের পর দাবি করেছেন ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান রবার্ট কন্টে।
ক্যাপিটল ভবনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারী ব্যক্তিকে দেখা গেছে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও এই ফুটেজ প্রচারিত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর আঘাত করার পর দরজা খুলে ছুরি হাতে বের হয়ে আসে ওই ব্যক্তি। তবে ছুরি নিয়ে হামলা চালানোর আগেই গুলিবর্ষণ করে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামলাকারী ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে মার্কিন পুলিশ। তার নাম- নোয়া গ্রিন। ২৫ বছরের এই কৃষ্ণাঙ্গ এই যুবক গত এক মাস ধরে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আমেরিকার সরকারবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আসছিলেন।