ভারতের মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোটের মাধ্যমে নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারকে, বিজেপি বিরোধী জোটের সঙ্গে একমত হয়ে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে শনিবার যেভাবে ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। আদালত আরও বলেছে যে আস্থা ভোটে অবশ্যই ভিডিওগ্রাফ করতে হবে এবং এর সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী।
এনসিপির অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে রীতিমতো এক গোপনীয় শপথ অনুষ্ঠানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সম্মিলিতভাবে আবেদন করে ছিল নবগঠিত কংগ্রেস, শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)।
যদিও সোমবার সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতকে বলেন, অজিত পাওয়ার সমস্ত এনসিপি বিধায়কের সমর্থনের চিঠি জমা দিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। তুষার মেহতা বলেন, ‘অজিত পাওয়ার ২২ নভেম্বর ৫৪ জন বিধায়কের স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি জমা দিয়েছিলেন।’ এই চিঠির পরেই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
‘এই চিঠিতে বলা হয়েছে, এর আগে আমি সরকার গঠনে অপারগ এই কথা জানিয়েছিলাম। একটি স্থিতিশীল সরকারের জন্য আমরা দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা মহারাষ্ট্রের সেবা করব’ আদালতকে ওই চিঠির বক্তব্য তুলে ধরে জানান ওই শীর্ষ আইনজীবী ।
বিজেপির হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়া প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি বলেন: ‘রাজ্যপাল ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন দেখেছিলেন। এটি কোনও জাল চিঠি নয়। আর তারপরেই তিনি বিজেপিকে শপথ গ্রহণের জন্যে ডেকেছিলেন’। আর এই চিঠি নিয়ে রাজ্যপলের মনে কোনও সন্দেহের উদ্রেকও হয়নি, এমনটাও জানান রোহাতগি।
যদিও সোমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ কাজ শুরু করে দিলেও এখনও উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিতে দেখা যায়নি অজিত পাওয়ারকে।
এদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের প্রতিপক্ষ শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট ১৫৪ জন বিধায়কের স্বাক্ষর সহ আদালতে তাদের নথি জমা দিয়েছে এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোট করানোর আহ্বান জানায়। বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে ওই আস্থা ভোট সম্পন্ন করতে হবে মর্মে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত। নতুন বিধায়করা বিকেল ৫ টার মধ্যে শপথ নেবেন এবং এর পরেই আস্থা ভোট হবে বলে জানায় তিন বিচারপতির বেঞ্চ ।