ভারতের মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে চলছে নাটকের পর নাটক। সাত সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করলেন দেবেন্দ্র ফড়ূণবিস। তার আগে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বিজেপি নিজের মুখ পোড়াল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। তার আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, বুধবার বিকেল ৫টার আগে আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে। গোপনে ভোটাভুটি নয়, লাইভ সম্প্রচারের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এরপর দুপুরে দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করেন অজিত পাওয়ার।
দেবেন্দ্র বলেন,”ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিয়েছে বলে আমাকে জানান পাওয়ার।”
ফড়ণবিস মনে করিয়ে দেন,”নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোটকে স্পষ্ট জনাদেশ দিয়েছে জনতা। সর্বাধিক ১০৫টি আসন জিতেছে বিজেপি। শিবসেনার সঙ্গে জোট হলেও যতগুলি আসনে বিজেপি লড়াই করেছে তার ৭০ শতাংশ জিতেছি আমরা।”
কংগ্রেস-এনসিপি ও শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে শুক্রবার চূড়ান্ত হয় উদ্ধব ঠাকরের নাম। পরের দিন সাত সকালে নাটকে আসে নয়া মোড়। রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার।
শরদ পাওয়ারের ভাইপো দাবি করেন, তার কাছে এনসিপির বিদ্রোহী বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু, শরদ পাওয়ার ঘোষণা করেন, বিজেপিকে সমর্থন দেয়নি এনসিপি। এটা অজিতের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। পরে বিদ্রোহী বিধায়করাও বেঁকে বসেন। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ইতোমধ্যে অজিতকে দলে টানতে তদ্বির শুরু করে দেয় এনসিপি। এদিন সঞ্জয় রাউতের কথাতেই ইঙ্গিত, অজিত পাওয়ার থাকছেন এনসিপিতেই।
শিবসেনার মুখপাত্র জানান, এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনা জোট সরকার করতে চলেছে। ৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। অজিত পাওয়ারও আসবেন। জিনিউজ।