করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা ভারত। দেশটিতে প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড আগের দিনের সূচককে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন সংকট প্রকট হয়েছে। রোগীরা এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই মারা যাচ্ছে। এমনই এক দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কানওয়াল জিৎ সিং। গতকাল বিবিসির খবরে তার দুর্দশার বর্ণনা দেওয়া হয়।
কানওয়ালের বাবা নিরঞ্জন পাল সিং গত শুক্রবার করোনা আক্রান্ত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান। তিনি চারটি হাসপাতালে খোঁজ করেছেন- কোনোটিতেই আসন ফাঁকা ছিল না। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করতেই তার বাবা মারা যান। বিবিসিকে তিনি বলেন, দিনটি ছিল আমার জন্য মর্মান্তিক। আমি মনে করি, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে বাবা বেঁচে যেতেন। কিন্তু কেউ আমাদের সাহায্য করেনি- না পুলিশ, না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ- অথবা সরকার।
এমন হাজারো মানুষ করুণ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। চারপাশে পরিস্থিতি এমন- যেদিকেই চোখ যাবে দেখা যাবে মরদেহ নয় তো অ্যাম্বুলেন্স। এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ বছরের বেশি সব নাগরিককে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। কোভিড- ১৯ মহামারী মোকাবিলায় মোদি প্রশাসনের সমালোচনার মধ্যে গত সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে।
যুক্তরাজ্যের লাল তালিকায় ভারত
এবার ভারতকে ভ্রমণ নিষিদ্ধের লাল তালিকাভুক্ত করছে যুক্তরাজ্য। ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাসের একটি ধরন ১০৩ জনের দেহে খুঁজে পাওয়ার পর যুক্তরাজ্য এ পদক্ষেপ নিচ্ছে। সোমবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ভারতকে ভ্রমণ নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন। একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।