লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ শূন্য আসনের উপনির্বাচন জুলাইয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই এ নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
আজ বুধবার বিকেল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের জানান, আটকে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২৪ মে কমিশন সভায় ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চার সংসদীয় উপনির্বাচন ছাড়াও ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ ও ১০ পৌরসভার ভোট আটকে রয়েছে।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘চার উপনির্বাচনের বিষয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হয়েছে। করোনা মহামারি ও লকডাউনের কারণে এ চারটি নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ২৪ মে কমিশনের পরবর্তী সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারিত হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করা হবে।’
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দকার খন্দকার স্থানীয় সরকারের ভোটের বিষয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হয়নি। পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয় ২৮ জানুয়ারি। গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে, ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ এর আসলামুল হকের মৃত্যুতে এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ এর আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনটি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।