শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জাতিসংঘের

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
  • ১২৮ বার

মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মিয়ানমারের সামরিক শাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস আচরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। অং সান সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। আইনগত দিক দিয়ে না হলেও রাজনৈতিক দিক দিয়ে এ আহ্বান ও নিন্দা প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেন, ‘বড় ধরনের গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হওয়ার সুযোগ ক্ষীণ হচ্ছে।’

মিয়ানমারে ব্যাপারে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাব ও অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখার আহ্বান ১১৯টি দেশ সমর্থন করলেও বেলারুশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহকারী বড় দুই দেশ রাশিয়া, চীনসহ ৩৬টি দেশ অনুপস্থিত ছিল।

এদিকে মিয়ানমারের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে অনুপস্থিত থাকা কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। অন্য দেশগুলো বলেছে, প্রস্তাবে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংস আচরণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এ সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাতিসংঘবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ওলফ স্কুজ মিয়ানমারের জনগণ ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি জান্তা সরকারের সহিংস আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধি কিয়ো মোয়ে তুন প্রস্তাব পাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এত বেশি সময় নেওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহবন্দী রয়েছেন অং সান সু চি। সেনাবাহিনী গতবছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করে। তারপর ধীরে ধীরে সেনাবিরোধী বিক্ষোভ বাড়তে থাকে দেশটিতে। পরে তা ব্যাপক সহিংসতায় রূপ নেয়। দেশটির পুলিশ ও সেনাদের গুলতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। পর্যবেক্ষক দল অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী ৮৬০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। আর আটক করেছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে। দেশটিতে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ এখনো চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com