শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

জর্জ ফ্লয়েড হত্যা : সেই পুলিশের সাড়ে ২২ বছরের জেল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১
  • ১২৮ বার

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিনকে সাড়ে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গতকাল শুক্রবার এই রায় ঘোষণা করা হয়। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার আইনজীবী ডেরেক চাওভিনের ৩০ বছর কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। অপরদিকে চাওভিনের আইনজীবী আদালতে তার মুক্তি চান। কিন্তু গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই আদালতে প্রমাণিত হয়।

রায়ে আদালত বলেছেন, ‘ফ্লয়েডের মৃত্যুতে তার পরিবার যে যন্ত্রণা ভোগ করছে সেই দিকে অবশ্যই আমাদের নজর দিতে হবে।’ এছাড়া ফ্লয়েডের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে প্রতিবাদ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল আদালত সেটিও রায়ে উল্লেখ করে।

রায়ের পর ফ্লয়েডের আইনজীবী বেন ক্রাম্প এক টুইটে বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই রায় অপরাধীকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করেছে। রায়টি ফ্লয়েডের পরিবার এবং আমাদের সমাজকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে।’

ফ্লয়েডের বোন ব্রিজেট ফ্লয়েড বলেছেন, ‘পুলিশের নির্মমতাকে রাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছে, এ রায় সে কথাই বলছে। তবে আমাদের আরও অনেক পথ যেতে হবে।’

অন্যদিকে এ রায়েও সন্তোষ হয়নি মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কেইথ এলিসন। তার দাবি, চাওভিনকে যে সাজা দেয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়।

এদিন চাওভিন আদালতে বলেন, ‘আমি ফ্লয়েডের পরিবারের প্রতি শোক জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে। আমি আশা করি, এতে আপনারা মানসিকভাবে শান্তি পাবেন।’ কিন্তু কি তথ্য বেরিয়ে আসবে সে বিষয়ে কিছুই বলেননি চাওভিন।

বর্তমানে চাওভিন কারাগারে আছেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল মিনেসোটার হেনেপিন কাউন্টির একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সেসময় আদালত বলেছিলেন, পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে চাওভিনের কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করা হবে। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার সেই রায় ঘোষণা করা হলো।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে মিনিয়াপলিস পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফ্লয়েডকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় মাটিতে শুইয়ে তার ঘাড়ে প্রায় ৯ মিনিট চেপে বসেন চাওভিন। ওই সময় বারবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলার পরও ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড় থেকে নামেননি। একপর্যায়ে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের হাজারো মানুষ। শুরু হয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com