মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

ডি মারিয়ার গোলটি কেন অফসাইড ছিল না

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১
  • ১২১ বার

গোলের আগে রদ্রিগো ডি পলের লম্বা পাস ধরে ডি মারিয়া যখন এগিয়ে যান তখন এক পলকে অনেকের কাছে মনে হয়েছে ওটা অফসাইড। ডি মারিয়া বল রিসিভ করার মুহূর্তে অফসাইড পজিশনেই ছিলেন কিন্তু আর্জেন্টিনার গোলটিও আইনসিদ্ধ।  কারণ, ডি মারিয়া রিসিভ করার আগে বল ব্রাজিলের ১৬ নম্বর জার্সি পরা ডিফেন্ডার রেনান লোদির পা ছুঁয়ে গিয়েছিল। এ কারণেই এটা আর অফসাইড নয়। এমন গোল দেখা গেছে এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও। রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দশম মিনিটেই গোল করেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার লুকাকু। তবে সেই গোল নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। কারও কারও দাবি গোলটি করার সময়ে অফসাইডে ছিলেন লুকাকু। লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেননি, ম্যাচের রেফারিও অফসাইডের বাঁশি বাজাননি।

তবে লুকাকু বল রাশিয়ার জালে পাঠানোর পর ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভিএআরও অফসাইড না দিয়ে গোল বহাল রাখে। খালি চোখেও দেখা যাচ্ছিল লুকাকু অফসাইডে ছিলেন। দ্রিস মের্টেনসের একটি ক্রসের জন্য রাশিয়ার বক্সে অপেক্ষা করছিলেন লুকাকু। তার সামনেই ছিলেন রাশিয়ার ডিফেন্ডার আন্দ্রেই সেমেনভ। তিনি বলটি বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বল সেমেনভের পায়ে লেগে একটু দূরে ছিটকে যায়। দৌড়ে গিয়ে সেখান থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঠান্ডা মাথার শটে জালে পাঠান লুকাকু। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে মের্টেনস যখন ক্রসটি বাড়ান, অফসাইড পজিশনে ছিলেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার। কিন্তু সেমেনভের ওই পায়ের ছোঁয়াটাই বদলে দিয়েছে পরিস্থিতি। নিয়ম অনুযায়ী যে দলের বিপক্ষে আক্রমণ হচ্ছে সেই দলের ডিফেন্ডার বা কোনো খেলোয়াড় যদি বলটি খেলেন (তা বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য বা বিপদমুক্ত করার জন্যই হোক), তাহলে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় আর অফসাইড হবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com