লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে কমপক্ষে ১৭ বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। ডুবে যাওয়া ওই নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের আরো কমপক্ষে ৩৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে। বুধবার তিউনিসিয়ান রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, নৌকাটি লিবিয়ার উত্তরপশ্চিম উপকূলের জুওয়ারা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। এতে বাংলাদেশীসহ সিরিয়া, মিসর, সুদান, ইরিত্রিয়া ও মালির অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছিল।
সংস্থাটির কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেন, লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকাডুবে ১৭ বাংলাদেশী মারা গেছেন ও ৩৮০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে মৃতদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে আর কোনো বাংলাদেশী রয়েছে কি না তাও নিশ্চিত করতে পারেননি রেড ক্রিসেন্টের ওই কর্মকর্তা।
৩ জুলাই লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে বাংলাদেশ, মিসরসহ চারটি দেশের অন্তত ৪৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবে যায়। নৌকার সকল আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
এর মাত্র পাঁচদিন পরে ৮ জুলাই ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া আরেকটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী।
এর আগে গত ২৪ জুন ভূমধ্যসাগরে ভাসমান অবস্থা থেকে আড়াইশর বেশি বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় তিউনিসিয়া কোস্টগার্ড জানায়, ২৬৪ বাংলাদেশী ও তিন মিসরীয় নাগরিক, অর্থাৎ মোট ২৬৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী একটি নৌকায় করে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যেতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝসমুদ্রে নৌকাটি বিকল হয়ে গেলে বিপদে পড়েন তারা।
এর মাত্র তিন দিন পরেই সাগরে ভাসমান অবস্থায় ১৭৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধার ব্যক্তিদের বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশী।
সূত্র : রয়টার্স