‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে প্রতিবছরই নানা ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। এর মধ্যে প্রধান অভিযোগ হলো ‘যৌনতা’। অ্যাথলেটরা ‘যৌন সম্পর্কে’ মেতে ওঠেন যখন-তখন। মাল্টি স্পোর্টসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ইভেন্টে যৌনতা নাকি অবিচ্ছেদ্য অংশ। চলতি বছর অলিম্পিক আয়োজরে যৌনতার বিষয়টি বেশ ফলাও করেই আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে খবরে আসলেন সাবেক অলিম্পিয়ান সুজান তিয়েডকে। অলিম্পিকে গিয়ে বহু মানুষ ‘সেক্স করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সাবেক এই লং জাম্পার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গেমস ভিলেজে সেক্স বরাবর একটা ইস্যু। বহু মানুষ সেক্স করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। একের পর এক পার্টিও হতে থাকে। এর সঙ্গে অ্যালকোহলও চলে আসে। এমনকী অনেক সময় ঘুমানোও যায় না ঠিক ভাবে। অনেকে ভোরের দিকে সেক্স করে।’
এ বছর অলিম্পিকে যৌনতার আলোচনা ছাপিয়ে খবরের শিরোনাম হয় কার্ডবোর্ডের তৈরি ‘অ্যান্টি-সেক্স’ খাট! প্রতিযোগীদের যৌন সম্পর্ক থেকে দূরে রাখতেই নাকি এই খাট তৈরির চিন্তা করা হয়। কিন্তু আয়োজকদের এমন ভাবনা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন ১৯৯২ ও ২০০০ অলিম্পিকে অংশ নেওয়া লং জাম্পার সুজান। তিনি বলেন, ‘টোকিও অলিম্পিকে সেক্স নিষিদ্ধ শুনেই আমি ভয়ঙ্কর হেসেছিলাম। এসব কোনো কাজেই দেয় না।’
সুজান আরও বলেন, ‘সেক্স করলে শরীর রিচার্জ হয়ে যায় এনার্জি চলে আসে ভেতর থেকে। অলিম্পিকের রুমমেটরাও খুব সাহায্য করে। তারা ব্যাপারাটা বোঝে এবং সেক্স করার জন্য অন্য রুমমেটকে ঘর ছেড়ে দেয়।’
সাবেক এ অলিম্পিয়ান এখন বিবাহিত। লং জাম্প ইভেন্টে অংশ নিতে এক অলিম্পিকে তার দেখা হয় জো গ্রিন নামে অপর জাম্পারের সঙ্গে। পরবর্তীতে প্রেম ও বিয়ের সম্পর্কে জড়ান তারা।
অলিম্পিকে যৌনতার গল্প বলেছিলেন আমেরিকার দু’বারের স্বর্ণপদকজয়ী গোলকিপার হোপ সোলো। তার ভাষ্য ‘অলিম্পিকে প্রচুর সেক্স হয়। আমি লোককে প্রকাশ্যে সেক্স করতে দেখেছি। কেউ ঘাসের ওপর শুয়ে তো কেউ দুটি বিল্ডিংয়ের ফাঁকে ঢুকে সেক্স করে।’ ২০১২ সালে ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনকে তিনি বলেছিলেন এসব কথা।
অলিম্পিক ও যৌনতা যে একে অপরকে জড়িয়ে আছে তার প্রমাণ বিপুর পরিমান কনডম বিতরণের ঘটনা। ১৯৮৮ সালে সিওল অলিম্পিকে বিনামূল্যে ৮৫০০ কনডম বিতরণ করা হয়েছিল। গতবছর রিওতে রেকর্ড ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কনডম দেওয়া হয়। টোকিও অলিম্পিকে আয়োজকরা দেড় লাখ কনডম সরবরাহ করে। নিরাপদ যৌনতা ও ও এইচআইভি প্রতিরোধের সচেতনা বাড়ানোর লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।