ইসরায়েলি মালিকানাধীন পেট্রোলিয়াম পণ্যের ট্যাংকারে হামলায় ইরানের দিকে আঙুল তুলছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো রকম রাখঢাক না করেই হামলার বিষয়ে ইরানকে দায়ী করেছে। তারা বলছে, এই হামলা সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) মারসের স্ট্রিট নামে একটি জাহাজ আরব সাগরে হামলার শিকার হয়। এই হামলার জন্য প্রথম থেকেই ইরানকে দায়ী করছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের কাছে ইরানের এই হামলার বিষয়ে জোরালো প্রমাণ আছে। ইসরায়েল নিজের মতো করেই এই হামলার জবাব দিবে বলেও ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেনেট।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এই হামলাকে ইরানের ইচ্ছাকৃত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সেইসঙ্গে ইরান যাতে এই ধরনের হামলা বন্ধ করে, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন। ব্রিটিশ মিত্রের সাথে সুর মিলিয়েছে আমেরিকাও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারে নিশ্চিত যে, এই হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে।
তবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমস্ত অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ইরান। এই হামলার পেছনে তাদের কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, ইসরায়েল নিজেই এই অনিরাপত্তা, ত্রাশ ও সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করেছে।
তেহরানকে দায়ী করার নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঘটনার নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ইরানকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
এদিকে, হামলার পর ঘটনাস্থলে মার্কিন নৌবাহিনী উপস্থিত হয়ে জাহাজটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে এসেছে। এই হামলাকে ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ নৌ সহিংসতা বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংকটের মধ্যে বিভিন্ন হামলার জন্যই ইরানকে দায়ী করা হচ্ছে।