করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকার ক্রিকেট মাঠে দর্শক নেই বহুদিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ মতো দলগুলো ঘুরে গেছে। এখন আছে অস্ট্রেলিয়ার একটি টি-টোয়েন্টি দল।
সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এসব নিয়ম ও কোভিড সতর্কতা মেনে চললেই কেবল মাঠে খেলা গড়াবে।
বাংলাদেশে আসার আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে রাখে একটা পুরো হোটেল তাদের জন্য বুক করে রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা যে কয়দিন হোটেলে থাকবেন ততদিন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যথাযথ কোভিড প্রটোকলের আওতার বাইরের কোনো মানুষকেই হোটেলে ঢুকতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও অন্য একটি হোটেলে একই ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই এই ক্রিকেট সিরিজে খেলছেন।
করোনাভাইরাসের আবিভার্বের পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগের মতো ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো বাতিল ও স্থগিত হয়েছিল।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হয়নি এখনো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও কোভিড নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
এর বাইরেও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেখাশোনা যারা করেন তাদের সুপারিশ মেনে চলেন।
সেই সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় কোভিড সতর্কতা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে শর্ত দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শর্ত দিয়েছিল, যতটা কম সম্ভব চলাচল করার। এই কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চট্টগ্রামে ম্যাচ খেলানোর চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে হয়েছে।
একটি মাঠে খেলা হলে চলাচল থাকবে সুনির্দিষ্ট।
তাই পুরো সিরিজের পাঁচ ম্যাচই মিরপুরের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন জিম্বাবুয়ে ছিল যারা বায়োবাবলে ছিলেন তারাই একসাথে ঢাকায় ফিরেই কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন হোটেলে।
যে কারণে বায়োবাবল ভেঙে ছুটিতে যাওয়া মুশফিকুর রহিম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারছেন না।
বায়োবাবলে না থাকা ক্রিকেটার, ম্যাচ রেফারি ও গ্রাউন্ডসম্যানরা কমপক্ষে ১০দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
এসব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট মোট দেড় শ’ জনের মতো কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এই ১০ দিন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, ‘কোথাও এখন আর কোনো বাধা নেই। ম্যাচ এখন গড়াবে তাদের কিছু শর্ত আমরা মেনে নিয়েছি। পাঁচ ম্যাচের জন্য দু’জন ধারাভাষ্যকার নিয়ে আসা হয়েছে বিদেশ থেকে।’
‘আমরা আশা করছি, যাতে পুরো সিরিজটা নিরাপদে শেষ করতে পারি। দিনরাত ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল ও গ্রাউন্ডস ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করছে। কীভাবে নিরাপদে এই সিরিজটা শেষ করা যায় সেটাই এখন মুখ্য বিষয়।’
যারা ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করছেন তাদের ‘সম্মুখসারীর করোনা যোদ্ধা’ বলছেন জালাল ইউনুস।
সূত্র : বিবিসি