অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলে রাতেই বিমানে উঠেছে, এবার অপেক্ষা অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশি দল নিউজিল্যান্ডের, যারা আসছে ২৪ আগস্ট। কিন্তু এই নিউজিল্যান্ড দলের কেউই তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের খেলোয়াড় নয়।
মূলত পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলার জন্য যে দলটা যাবে সেই একই দল বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে টি টোয়েন্টি সিরিজ।
পাঁচ ম্যাচের এই টি টোয়েন্টি সিরিজের জন্য টম লাথামকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরের পরেই আছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। যেখানে ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জেমিসন, লকি ফারগুসনরা নিজ নিজ আইপিএল দলের সাথে যোগ দেবেন সেপ্টেম্বর মাসে, একই বহরে আছেন কেইন উইলিয়ামসন ও জিমি নিশামও।
মূলত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরেই পরিকল্পনা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট- এনজেডসি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডেভি হোয়াইট বলেছেন, খেলোয়াড়দের কাজের চাপ কমানোটাই স্কোয়াড বন্টনে মূল চিন্তা ছিল।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি তাতে খেলোয়াড়দের কল্যান এবং সাপোর্ট স্টাফদের ভালো থাকা খুবই জরুরি। আমাদের সমস্তু চেষ্টা এখন নিউজিল্যান্ডের শীতকালীন যত সফর আছে সেখানে কীভাবে যতটা সম্ভব চাপ কমিয়ে যাতে স্কোয়াড পাঠানো যায়।’
বাংলাদেশ সম্প্রতি যে দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে তাতে কমপক্ষে দু’জন নিয়মিত সিনিয়র খেলোয়াড় ছিল না। তার বদলে খেলানো হয়েছিল দু’জন আনকোরা খেলোয়াড়কে।
ডেভিড হোয়াইট তার বক্তব্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন যে, নিউজিল্যান্ডের লাইনআপে এখন বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন দল পাঠানোর মতো সামর্থ্য আছে।
‘চলতি বছর ইংল্যান্ডে আমাদের দল বেশ ভালো করেছে। আমাদের এখন বেশ ভালো গভীরতা আছে। আমি আত্মবিশ্বাসী স্কোয়াডগুলো নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করে আসবে।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করে হোয়াইট বলেন, পাকিস্তান সফর ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের তারিখ মিলে যাওয়াতে একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন নির্বাচকরা।
এক্ষেত্রে তারা বাস্তবতার নীরিখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
‘আমরা আইপিএল নিয়ে সবসময় বাস্তবতা মেনেই চলেছি। এটা একটা বিশেষ ব্যাপার এবং নানা পটভূমির কারণে এটা নিয়ে আলোচনা হয়।’
বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ড যে টি টোয়েন্টি দলটা পাঠাচ্ছে তাতে দু’জন খেলোয়াড় আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নাম লেখাননি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান আকরাম খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘একটা টি টোয়েন্টি দলে কারা আছে সেটা আসলে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না। কারণ এক বা দুই ওভারেই খেলা বদলে যেতে পারে।’
‘আমরা আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়েছি,’ সাম্প্রতিক সিরিজে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস খেলতে পারেননি।
আকরাম খান বাংলাদেশের সাম্প্রতিক স্কোয়াডের কথা বলে, যে একদম নতুনরাই বড় প্রভাব ফেলেছে দলের জয়ে, সাথে সাহায্য করেছে অভিজ্ঞদের ভূমিকা।
এই দলটা যেভাবে খেলছে তাতে মাঠের ক্রিকেটে এই পরিকল্পনাই বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ডের দলটার বিপক্ষেও জয় এনে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবে, এরপর তারা পাকিস্তানে যাবে সরাসরি ঢাকা থেকে।
এর আগে ২০০২ সালে শেষবার নিউজিল্যান্ডের কোন ক্রিকেট দল পাকিস্তানে সফর করেছিল।
সেইবার করাচিতে টিম হোটেলের কাছে একটা বিস্ফোরণের কারণে সফরটি মাঝপথেই বাতিল হয়ে যায়।
সূত্র : বিবিসি